বর্ধমানে দেদার চলছে চোরাগোপ্তা মদের কারবার, প্রচারে নামলো আবগারি দপ্তর

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনার জেরে যখন সাধারণ মানুষের খাদ্যে টান পড়তে চলেছে। জায়গায় জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কালোবাজারি ঠেকাতে রাজ্য পুলিশের সর্বময় কর্তাকে বর্ধমানে ছুটে আসতে হচ্ছে। সেই সময় খোদ বর্ধমান শহর ও শহরতলী এলাকা জুড়ে চলছে রমরমিয়ে চোরাগোপ্তা মদের কারবার।
বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পোলেমপুরে পোলেমপুর ফাঁড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সন্ধ্যে হলেও বসছে মদ আর জুয়ার আসর। শুধু পোলেমপুরই নয়, বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ, বাজেপ্রতাপপুর, মেহেদিবাগান, নীলপুর বটতলা সহ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চোরাগোপ্তা মদের কারবার চলছে রমরমিয়েই। পাশাপাশি চলছে পুলিশি হানাদারিও। পুলিশ দেখলেই সটকে পড়ছেন মদ কারবারীরা। তারই মাঝে শনিবার পুলিশ একটু নিক্রিয় হতেই লকডাউন শিকেয় তুলে রীতিমত মদের দোকান খুলে ভীড় করে একেবারে উৎসবের মেজাজে হৈচৈ করে মদ বিক্রি করার খবর পাওয়া গিয়েছিলো। এমনকি চারচাকায় মদ ভরে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখা গিয়েছিল। যদিও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা চলে আসার পর দোকান বন্ধ করে দেয় মালিক।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বার হতে নিষেধ করা হচ্ছে সেই সময় মদ্যপায়ীদের এহেন আচরণে রীতিমত আতংক সৃষ্টি হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার থেকে ব্যাপক প্রচারে নামল জেলা আবগারী দপ্তর। এদিন মাইকে প্রচার করা হয়েছে, চলতি করোনা পরিস্থিতিতে জেলার সমস্ত মদের দোকান বন্ধ আছে। এমনকি কালোবাজারিতে মদ কেউ কিনবেন না বা খাবেন না বলেও প্রচার করা হচ্ছে। প্রচারে এও তুলে ধরা হচ্ছে যে, এই অবৈধ জায়গা থেকে কেনা মদ বিষমদও হতে পারে। হতে পারে প্রাণহানিও। কিন্তু তারপরেও কতটা শুনছেন মদ্যপায়ীরা তা নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
আবগারী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু মদ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আওতায় পড়ে না। তাই আবগারী দপ্তরের অফিসও কার্যত বন্ধ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে মদ খাওয়ার প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এবং জেলা পুলিশকে সহায়তা করতে তাদেরও মদের বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে হয়েছে। 

আরো পড়ুন