---Advertisement---

প্রচারই সার – খোদ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের সামনেই ব্যাপক জমায়েত ঘিরে আশংকা

Souris Dey

Published

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গোটা বিশ্বজুড়ে যখন সেল্ফ ডিসটেনশন বা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির দূরত্ব বজায় রাখা, একসঙ্গে জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে সেই সময় কিছু মানুষ তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলেছেন। শুধু তাই নয় মহামারীরূপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রীতিমত পুলিশকে লাঠি হাতে সাধারণ মানুষকে ঘরমুখো করার চেষ্টা চালাতে হচ্ছে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশের সমালোচনা করতে শুরু করেছেন একাংশ। 
অথচ বারবার নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করেই চলছে জমায়েত। আর শুক্রবার দুপুরে এই ছবিই ধরা পড়ল খোদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের উল্টোদিকে ফেয়ার প্রাইস সপের সামনে। কাতারে কাতারে রোগীর আত্মীয়স্বজন থেকে সদ্যজাত শিশুদের নিয়েই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে রয়েছেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের নির্দিষ্ট দূরত্বে বসার জন্য কর্তব্যরত সিভিক ভলেণ্টিয়ার বা পুলিশ কর্মীরা আবেদন করলেও কেউই তাতে কান দিলেন না। কেউ কেউ পুলিশের কথায় সরে বসলেন বটে, কিন্তু পুলিশ বা সিভিক ভলেণ্টিয়াররা সরে যেতেই সেই একই চিত্র। 
এদিকে খোদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু তথা প্রসূতি বিভাগের সামনে এই ঘটনায় রীতিমত আতংকিত অন্যান্যরাও। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ঘনঘন মাইকিং করে সতর্কও করা হচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বারবার বলা সত্ত্বেও যদি সাধারণ মানুষের চেতনা না ঘটে তাহলে আর কি করা যায়। তবুও তাঁরা চেষ্টা করছেন, বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কেউ শুনছেন আবার কেউ অবিবেচকের মতই কাজ করছেন। করোনার ভয়াবহতা তাঁরা বুঝেও বুঝতে পারছেন না। এতে যে শুধু তাঁর নিজের নয়, হাসপাতালে আসা সকলেই বিপদে পড়তে পারেন সেটা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন ততই মঙ্গল। 
See also  বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অনির্বাণ কোলের বদলী পুর্ব মেদিনীপুরে
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---