বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান শহরে লক ডাউনের প্রথম দিনে অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান থানার পুলিশ হানা দিয়েছিলো স্টেশন বাজার থেকে তেঁতুলতলা বাজারে। খবর ছিলো আলু,পিঁয়াজ সহ কিছু কাঁচা সবজির বাড়তি দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। পুলিশের কাছে বিক্রেতারা স্বীকারও করে বেশি দামে তারা মাল বিক্রি করছিলেন। আর সোমবার সকাল থেকে এই কালোবাজারি রুখতে মাইকিং শুরু করল প্রশাসন।
রাজ্য জুড়ে লক ডাউনের আগে বর্ধমান শহর জুড়ে মাইকে জনগনকে সচেতন করতে প্রচার চালালো পুলিশ। ২৭ মার্চ রাত বারোটা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে লক ডাউন চললেও সবজি, মুদিখানা দোকান সহ জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে বলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার চালায় পুলিশ। এমনকি শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেটের সামনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের পাশে মাইক লাগিয়ে সারাদিন বিভিন্ন নির্দেশিকা সহ সচেতনতার প্রচার চালায় পুলিশ।
লক ডাউনের ঘোষনা হতেই জেলা জুড়ে খাদ্য সামগ্রী মজুত করার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। চারদিকে কালোবাজারির অভিযোগ উঠছে। তা সামাল দিতেই এই প্রচার বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
মাইকে বলা হয়, সবজি বাজার খোলা থাকবে। মুদিখানা দোকান, পেট্রল পাম্প খোলা থাকবে। তাই অযথা গুজব রটাবেন না। কালো বাজারি করা হলে কঠোর শাস্তি দেবে প্রশাসন। লক ডাউনের কর্মসূচি ঘোষণা হতেই রবিবার রাত থেকেই কাঁচা আনাজ খাদ্য সামগ্রী মজুতের হিড়িক পড়ে যায়। খুব তাড়াতাড়ি জোগান ফুরিয়ে যাবে এই আশংকায় অনেকেই বাড়তি পরিমান চাল ডাল তেল চিনি আটা কেনা শুরু করে দেন।
হঠাৎই সাধারণ মানুষের অত্যাধিক চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিনিস পত্রের দামও বাড়তে শুরু করে। আলু, পেঁয়াজ, চাল, ডাল সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে। সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া। গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন বাজারে হানা দেয় পুলিশ। বাজারে বাজারে টহল দেয় টাস্ক ফোর্স। এরপরই মাইকিং করে জনগনকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লক ডাউনের সময় সবাইকে বাড়িতে থাকার আবেদন জানানো হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরনোই উচিত। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই লক ডাউনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজের ও পরিবারের সকলের স্বার্থে এখন ঘরে থাকা প্রয়োজন। সেইসঙ্গে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হোম কোয়ারান্টিনে থাকা পুরুষ মহিলারা কোনও ভাবেই যাতে বাইরে না আসেন তা নিশ্চিত করতে বাড়ির বাইরে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি এদিন পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স এর পক্ষ থেকেও প্রচার গাড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচায় চালায়। সংগঠনের সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব জানিয়েছেন, তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করছেন। কোনো ব্যবসাদার অবৈধ মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে তাঁরা কোনো ভাবেই ব্যবসাদারদের পক্ষে থাকবেন না।
এছাড়াও এদিন সরকারের নির্দেশাবলীও এই প্রচার গাড়ি থেকে অনবরত মাইকিং করে জনসাধারণকে জানানো হয়।