এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন, পশ্চিমবঙ্গের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি। সভাপতি জানিয়েছেন, ৭জন এশিয়ান ক্যারাটে ফেডারেশনের বিচারক ও প্রায় ৮০ জন জাতীয় বিচারক সম্পূর্ন প্রতিযোগিতার বিচার ব্যবস্থার দায়িত্ব সামলেছেন। সাব-জুনিয়র, ক্যাডেট, জুনিয়র, আন্ডার ২১ এবং সিনিয়র বিভাগের কাতা, কুমিতে, টিম কাতা এবং টিম কুমিতে মিলিয়ে সর্বমোট ১০৫ টি ইভেন্ট ছিল এই প্রতিযোগিতায়।

বর্ধমান ক্যারাটে-ডো এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক রেনসি দেবাশীষ কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় আশাব্যঞ্জক ফল করেছে। ধ্রুবজিত দত্ত ৯ বছর উর্দ্ধে ২৩ কেজি পুরুষ কুমিতে বিভাগে সোনা জিতেছে। ঈশানী গুপ্তা ১২ বছরের ৪০ কেজি মহিলা কুমিতে বিভাগ সোনা জিতেছে। সৃজা দাস অনূর্ধ্ব ২১ বছরের ৪৫ কেজি মহিলা কুমিতে বিভাগে রূপো জিতেছে। নৌরিন আহমেদ অনূর্ধ্ব ২১ বছরের ৬৮ কেজি মহিলা কুমিতে বিভাগে রূপো জিতেছে। শ্রেয়সী ঘোষ ১২ বছরের ৪০ কেজি মহিলা কুমিতে বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করেছে। এবং সোহান মুখার্জী ১৫ বছর উর্দ্ধে ৭০ কেজি পুরুষ কুমিতে বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।

দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, কোভিডের জন্য দীর্ঘসময় এই অফিসিয়াল রাজ্য ক্যারাটে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। এই প্রতিযোগিতার সকল পদক বিজয়ীরা আসন্ন ইস্ট ইন্ডিয়া জোনাল ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় এবং স্বর্ণপদক বিজয়ীরা আসন্ন জাতীয় ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রাজ্য স্তরের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্যারাটেকাদের এই ফলাফল নিয়ে সকলে খুব খুশি ও গর্বিত।