বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে হঠাৎই দেখা মিললো তার। সাবধানে তাকে একটি পাত্রে রেখেও দেওয়া হলো। কিন্তু বিপত্তি শুরু তারপরেই। অদ্ভুত দর্শন মাকড়সা আবিষ্কারের খবর দশ কান হতেই ভিড় বাড়তে শুরু হলো বসন্ত রায়ের ভিটেতে। মাকড়সা নিয়ে যত না কৌতূহল,তার থেকে সেই মাকড়সার শরীরে মানুষের মুখের আদলের ছাপ দেখতে ধীরে ধীরে ভিড় উপচে পড়তে শুরু করলো পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের পলশা গ্রামে রায় বাড়িতে।
মাকড়সার পেটের দিকে নাকি দেখা মিলেছে দেবী কালীর মুখের ছাপ! আর তা দেখতেই আশপাশের গ্রাম থেকেও ভিড় করতে শুরু করে দিল প্রচুর মানুষ। গ্রামবাসী জয়ন্ত মুখার্জি জানালেন, এদিন সকালে বাড়িতে যখন ঝাঁট দেওয়া হচ্ছিলো সেসময়ই মাকড়সাটির দেখা মেলে। মাকড়সাটি উল্টে যেতেই পেটের কাছে দেখা যায় লাল রং দিয়ে যেন আঁকা কালীর মুখের মত ছাপ। তিনি জানান, এরপর কৌতূহলবশত মাকরসটিকে সাবধানে একটি পাত্রে তুলে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই ভীড় বাড়তে থাকে বসন্ত রায়ের বাড়িতে।
যদিও এটি কি প্রজাতির মাকড়সা বা এটি কতটা বিষাক্ত, আদৌ এটি বিরল কিনা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সিনিয়ার অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র জানান, এই মাকড়সা টির প্রজাতি বিরল নয়। এদেরকে প্রজাতিকে বলা হয় ক্র্যাব স্পাইডার। এদের বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে। গৌতম বাবু জানান, সাধারণত এই প্রজাতির মাকড়সা দের ফুল গাছে দেখতে পাওয়া যায়। এদের পেটের ওপর বিভিন্ন রকম রঙিন নকশা থেকে থাকে। এই প্রজাতির মাকড়সা সাধারণত খুব বেশি বড় মাপের হয় না। তবে মাকড়সার শরীরের লালা মানুষের জন্য সাধারণত ক্ষতিকর। এরা ছোট পোকামাকড় ধরে খায়।
এদিকে প্রচুর মানুষের সংস্পর্শে এদিন বিকেলের দিকে মাকড়সা টি মারা গেছে বলে গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে।