বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি থানা এলাকা জুড়ে যে অবৈধ ভাবে বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ির কারবার চলছে আর তার জন্য দিনের পর দিন পারাজ শিল্যা রোড ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আর এই অভিযোগেই রবিবার এই রাস্তার ওপর নির্ভরকারী রামগোপালপুর অঞ্চলের গ্রামবাসীরা বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভে সামিল হলেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামের বাসিন্দারা।
এদিন গলসী ১ নং ব্লকের রামগোপালপুরের নবখন্ড মোড়ে পারাজ শিল্ল্যাঘাট রোড আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এদিন রামগোপালপুরের বাসিন্দা আবদ মোল্লা, মহম্মদ ফিরোজ প্রমুখরা জানিয়েছেন, গলসীর এই শিল্যাঘাট থেকে পারাজ মোড় পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েদের মোট ৪টি হাইস্কুল রয়েছে। কিন্তু যেভাবে বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ির দাপট ক্রমশই বেড়ে চলেছে তাতে তাঁরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এমনকি এব্যাপারে বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হয়নি।
তাঁরা জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজের সময়ে এই বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ি দ্রুত গতিতেই শুধু যাচ্ছে তাই নয়, প্রতিটি গাড়ি থেকে হু হু করে জল পড়ছে রাস্তায়। ফলে গোটা রাস্তা জল-কাদায় ভরে গিয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে রাস্তাও দ্রুত খারাপ হচ্ছে। গ্রামবাসীরা এদিন জানিয়েছেন, তাঁদের দাবী, সরকার নির্ধারিত ৪৪০ সিএফটির বেশি কোনো গাড়িই যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে নিয়মানুযায়ী বালির ঘাট থেকে বালি তোলার পর বালিতে থাকা জল ঝড়িয়েই তা নিয়ে যেতে হবে। জলে ভর্তি বালি নিয়ে যাওয়া চলবে না।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতেই গলসীর শিকারপুরে বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বাড়ির ওপর উল্টে গিয়ে একই পরিবারের ৫জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি কারও। এমনকি খোদ পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছে এই অবৈধ বাড়তি বালি বোঝাই গাড়ির কারবার। তাই বাধ্য হয়েই এদিন তাঁরা সমস্ত বালির গাড়ি আটকে দিয়েছেন। গ্রামবাসারী অভিযোগ করেছেন, বালি ঘাটেই জল ঝরিয়ে তবে রাস্তায় ওঠার নিয়ম থাকলেও তা মানা না হওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর বাঁধ ও রাস্তা। এর ফলে বেশী সমস্যায় পড়ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।