রাজ্যে প্রথম ক্লাস বাজারে নিয়ে এল চাষের অত্যাধুনিক মাল্টি ফাংশনাল মেশিন

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশের পর এবার বাংলাকে পাখির চোখ করল জার্মান সংস্থা ক্লাস। পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশের পর এবার নির্দিষ্ট জমিতে আরও কতটা ফসল পাওয়া যায় তার দিশা দেখাতে ক্লাস বাজারে নিয়ে এল অত্যাধুনিক মাল্টি ফাংশনাল মেশিন। বুুধবার বর্ধমানের মেমারীতে ক্লাসের নতুন হার্ভেষ্ট সেণ্টারের উদ্বোধন হলো। আর উদ্বোধক হিসাবে এদিন সুদূর জার্মান থেকে হাজির হয়েছিলেন ক্লাস গ্রুপের এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেণ্ট ড. জেনস ওয়েডিং। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্লাস এগ্রি মেশিনারি প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয় সিংহও।
ড. জেনস ওয়েডিং এদিন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন কম্পমান তখন তাঁর এই ভারতে আসার জন্য কোনো সমস্যাই হয়নি। তিনি এদিন জানিয়েছেন, এই মেশিনে একদিকে যেমন বিভিন্ন শস্য বোনা যাবে, তেমনি বিভিন্ন শস্য কাটাও যাবে। শুধু তাইই নয়, অনেক সময় শস্য কাটার ক্ষেত্রে যন্ত্রের কারণে তা নষ্টও হয়। নয়া এই মেশিন সেই লোকসান ঠেকাবে। 
এই সেণ্টারের কর্ণধার অসীম মণ্ডল জানিয়েছেন, বর্তমানে জমির পরিমাণ আর বাড়ছে না। একইসঙ্গে জমিতে শ্রমিক সমস্যা ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে। অনেকেই চাষের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আর এই অবস্থায় যে চাষযোগ্য জমি রয়েছে সেখানেই কিভাবে উন্নত কারিগরী প্রয়োগ করে চাষের ব্যবস্থাকে উন্নত করা যায় তার জন্য একই ছাতের তলা থেকে চাষীদের সবরকমের সহায়তা দেওয়া হবে। 
জয় সিংহ জানিয়েছেন, বর্তমানে ১ বিঘা জমিতে রোয়ার কাজ করতে খরচ পড়ে ১৬০০ টাকা। সেখানে এই মেশিন দিয়ে সেই কাজ করলে মাত্র ৬০০ টাকা খরচ পড়বে। আবার ১ বিঘা জমির ফসল কাটতে যেখানে শ্রমিক দিয়ে খরচ পড়ে ২৭০০ টাকা, সেখানে এই মেশিন দিয়েই তা করতে খরচ পড়বে মাত্র ১০০০ টাকা। ফলে চাষের খরচ অনেকটাই কমবে – যা চাষীদের কাছে লাভজনক।

আরো পড়ুন