ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রেকর্ড রাজস্ব আদায় করল পূর্ব বর্ধমান ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। এই সময়কালে জরিমানা বাবদ যে অর্থ দপ্তর আদায় করেছে কেবল তারাই পরিমাণ গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫০শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। অর্থাৎ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভূমি রাজস্ব দপ্তর ওভারলোডিং বালির গাড়ি ও বিনা চালানের গাড়ি থেকে যেখানে জরিমানা সংগ্রহ করেছিল ১কোটি ২৪লক্ষ ৫০হাজার টাকা, সেখানে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সেই আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩কোটি ১২লক্ষ ৭৬হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে জমি,বাড়ির খাজনা বাবদ ভূমি রাজস্ব দপ্তর চলতি বছরে আয় বৃদ্ধি করেছে গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৪৬শতাংশ বেশি। অর্থাৎ ২০২১এর ফ্রেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই খাতে আয় ছিল ১কোটি ৬৫লক্ষ ২৯হাজার ৮১৯টাকা। সেখানে চলতি অর্থবর্ষ শেষ হবার দু মাস আগে পর্যন্ত জমি,বাড়ির খাজনা বাবদ ইতিমধ্যেই দপ্তর এই খাতে ২কোটি ৪১লক্ষ ৩৬হাজার ৬৪৪টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলে দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে।
পাশপাশি জেলার বিভিন্ন নদ নদী থেকে বালি উত্তোলন এর জন্য সরকারি ভাবে যে চালান বাবদ অর্থ আদায় করা হয় সেই খাতেও চলতি অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ গতবারের তুলনায় প্রায় ১০০শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ইট ভাটা গুলিতে মাটি মজুদ করার নিরিখে রাজস্ব আদায়ের অংশ রয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই খাতে গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত যেখানে রাজস্ব (royalty) আদায়ের পরিমাণ ছিল ২৩কোটি ৪৭লক্ষ ২৫ হাজার ৩৮৭টাকা, সেখানে চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই খাতে আয়ের পরিমাণ দাড়িয়েছে ৪৬কোটি ৫৫লক্ষ ৪৭হাজার ৫০টাকা। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় ৯৮শতাংশ বেশি।
জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক ঋদ্ধি ব্যানার্জি জানিয়েছেন, গত দুবছর কোভিড পরিস্থিতির কারণে রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার থেকে কিছুটা কম হলেও, পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতেই গত কয়েকমাসে জমির খাজনা ও বালি, মাটি সহ বিবিধ খাতে রাজস্ব আদায়ে জোর দেওয়া হয়। এমনকি ওভারলোডিং বন্ধে এবং বিনা চালানে বালি পরিবহন রুখতে লাগাতার অভিযান চালানো হয়। আর এরই ফলস্বরূপ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে রাজস্ব ও জরিমানার আদায়ের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি করা গিয়েছে।
চলতি বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাস অবধি যে হিসাব পাওয়া গেছে, তাতে রাজস্ব আদায় এবং জরিমানার পরিমাণ মিলিয়ে প্রায় ৯১শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে এই দুই খাতের অর্থ আদায়ের মোট পরিমাণ ছিল ২৯কোটি ৮৩লক্ষ ৩২হাজার ৬৮৭টাকা। সেখানে চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই এই দুই খাতে আদায়ের মোট পরিমাণ ৫৭কোটি ১২লক্ষ ৬৩হাজার ২৪৩ টাকা।