অবসাদে আত্মঘাতী শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক,আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: রাজ্যের শিক্ষারত্ন প্রাপক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে। এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে। মৃত শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার দাস (৬৩)। মৃত শিক্ষকের ছেলে সমীরণ দাস জানান, ” বাবা কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে অবসর নেন। তার আগে ৫সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই বছর শিক্ষারত্ন সম্মান গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিন বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অনেক চেষ্টা করেও তাঁর পেনশন চালু হয়নি। পেনশনের জন্য তিনি বারবার কলকাতা ছোটাছুটি করতেন।”

বিজ্ঞাপন

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাড়ির ভিতরে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। মৃতের দাদা শংকর দাস জানান, “অবসরের পরেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। সেই কারণেই পেনশন চালু হয়নি। এই নিয়ে ভাইকে চিন্তিত থাকতে দেখা যেত। পেনশন চালু না হওয়ায় মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।” এদিকে একজন শিক্ষকের অবসরের পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কেন পেনশন চালু করা গেল না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অবসরের প্রায় সাত আট মাস আগে থেকেই পেনশন সংক্রান্ত ফাইল দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে অবসরের পরই অবসরকালীন সুবিধা চালু হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অবসর নেওয়ার পর রাজ্যে লক ডাউন শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চ মাসে। সুতরাং পরের প্রায় ছ মাসে কেন পেনশন চালু হলো না, মৃত শিক্ষকের পরিবার থেকে সেই প্রশ্নও তুলছে।

আরো পড়ুন