ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গুসকরা: পূর্ব বর্ধমানের ৬টি পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছেই। এরই মধ্যে রাজ্য নেতৃত্বের সই, সিলমোহর দেওয়া প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্বেও গুসকরা পুরসভার ৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী মল্লিকা চোঙ্গদারের নাম বাদ দিয়ে দেওয়ায় জোর শোরগোল শুরু হয়েছে শহর জুড়ে। খোদ মল্লিকা চোঙ্গদার রবিবার জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে গুসকরা পুরসভার চারবারের নির্বাচিত তৃণমূলের কাউন্সিলর তিনি। ২০০৮সালে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলেছেন। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে চেয়ে দলের কাছে আবেদনও জানাননি। তবুও দল এবং দলের রাজ্য নেতৃত্ব তার নাম প্রার্থী তালিকায় রেখেছেন। তিনি প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু হঠাৎই বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল তাকে জানিয়ে দেন তার নাম প্রার্থী তালিকায় নেই। তার পরিবর্তে প্রথমে পূর্ণিমা চৌধুরী পরে শিপ্রা চৌধুরীর নাম ৩নং ওয়ার্ডের জন্য ঘোষণা করা হয়। আর এরপরই তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের অসময়ে সঙ্গে থেকে লড়াই করা নেত্রী মল্লিকা চোঙ্গদার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এতো বড় দুঃসাহস দেখানোর অধিকার কে দিল অনুব্রত মণ্ডলকে। রাজ্য নেতৃত্ব যেখানে তার নাম অনুমোদন করে পাঠিয়েছে সেখানে কার নির্দেশে তিনি নাম বাতিল করে দিলেন।’ মল্লিকা চোঙ্গদার জানিয়েছেন, এব্যাপারে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাকে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দলের সিলমোহর দেওয়া যে লিস্ট জেলায় পৌঁছেছে সেখানে যাদের নাম আছে তারাই দলের প্রার্থী। এদিন মল্লিকা চোঙ্গদার রীতিমত ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, গুসকরা পুরসভার ৩নং ওয়ার্ডে তার পরিবর্তে প্রার্থী হিসেবে যার নাম বলা হয়েছে সেখানেও অসংগতি রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল প্রথমে পূর্ণিমা চৌধুরীর নাম ঘোষণা করলেও তিনি তালিকায় নেই, কারণ সেই জায়গায় শিপ্রা চৌধুরীর নাম বলা হয়েছে। যদিও দলের কাছে এবিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলেও মল্লিকা চোঙ্গদার দাবি করেছেন।