ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সাত সকালে বর্ধমান কোর্ট কম্পাউন্ড চত্বরে বর্ধমান পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার উমা সাঁই এর নামে নিখোঁজ পোস্টার পরা কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। সাম্প্রতিককালে একাধিক বিজেপি নেতার নামে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আবার কখনো জেলা সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে। এবার বিরোধীশূন্য বর্ধমান পুরসভার একজন তৃণমূল কাউন্সিলরের নামে পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল তৈরি হয়েছে।
যদিও এই পোস্টার পরার বিষয়ে খোদ কাউন্সিলার উমা সাঁই বলেন,” কারা এসব কাজ করেছে আমার জানা নেই। যারা কাজ করে তাদের অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। হতে পারে কারুর স্বার্থে ঘা লেগেছে, তাই ৫০টাকা খরচ করে পাঁচটা পোস্টার প্রিন্ট করে কোথাও সাঁটিয়ে দিয়েছে। আপনারা ওয়ার্ডে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে জানলেই বুঝতে পারবেন আমি নিখোঁজ নাকি ওয়ার্ডের খোঁজ খবর রাখতে প্রতিদিনই এলাকার নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াই।”
উমা সাঁই বলেন, ‘ ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডের নিকাশি নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের দু এক জায়গায় আলোর সমস্যা আছে জানতে পেরে পুরসভায় চিঠি দিয়ে অবিলম্বে ঠিক করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। রাস্তা মেরামতের বিষয়েও চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে সবার মন জুগিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি সারা সপ্তাহ বা ২৪ঘণ্টা ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়ানোও সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে ওয়ার্ডের বহু মানুষের প্রতিদিন কথা হয়। কোনো সমস্যা নেই। এইসব পোস্টার কালচার আমাদের দলে নেই, এটা বিজেপির কাজ হতে পারে। আমি বাড়িতেই আছি, রান্না করছি।”
বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন,” তৃণমূলের কাউন্সিলার কে মানুষ এলাকায় খুঁজে পাচ্ছেন না এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এরা আসলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ভোটের আগে এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন,আলো ইত্যাদির আমূল পরিবর্তন আনবেন বলে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। মানুষ ভোট দিয়েছে। আর তারপর ওয়ার্ডের বসবাসকারীদের কি হাল হয়েছে সেটা তারাই বুঝতে পারছেন। রাস্তা গুলো আর রাস্তা নেই। চলাফেরা করাই দায় হয়ে উঠেছে। কাউন্সিলার চুপ। ড্রেনগুলো পরিষ্কার হয়না, কাউন্সিলার নির্বাক। রাস্তায় আলো জ্বলছে না, কাউন্সিলার বলছে চিঠি দিয়েছেন পুরসভায়।
স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখোমুখি হতে চাইছেন না কাউন্সিলার। পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। হতে পারে এইসব কারণেই এলাকার মানুষ কাউন্সিলরের সন্ধান চেয়ে পোস্টার দিয়েছেন জনবহুল এলাকায়। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। গোটা রাজ্য জুড়েই সাধারণ মানুষ কে ভাঁওতা দিয়ে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এবার সেই পথই অনুসরণ করছে পুরসভার কাউন্সিলার।’