ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: বাঘের এখন প্রজননের সময়, তাই সঙ্গী খুঁজতেই বাঘ লোকালয়ে চলে আসছে। যদিও তাঁরা বাঘকে ফের জঙ্গলেই ফেরত পাঠাচ্ছেন। রবিবার বর্ধমানের রায়নার মাছখান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এসে একথাই জানিয়ে গেলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি জানিয়েছেন, গোটা সুন্দরবনকে ঘেরার চেষ্টা চলছে। তাঁরা আশা করছেন আগামী ২ বছরের মধ্যে সুন্দরবনকে ঘিরে ফেলে লোকালয় থেকে সুন্দরবনকে আলাদা করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
কুলতলী, গোসাবা প্রভৃতি এলাকায় বাঘ নিয়ে হুলস্থূল ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন তিনি জানিয়েছেন, এই সময়টা বাঘের প্রজননের সময়। তাই সঙ্গী খুঁজতেই বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তবে তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। বাঘকে ফের বনেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা রাজ্যের সমস্ত চিড়িয়াখানাগুলোকেই আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। তৈরী হচ্ছে দর্শক টানতে নতুন নতুন ডিয়ার পার্ক। ব্যাঘ্র সুমারীর কাজ শুরু হয়েছে। গণ্ডার, হাতি, বাইসন প্রভৃতি জন্তুদেরও গণনার কাজ চলছে বলে এদিন বনমন্ত্রী জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, বিশেষত বাঘের জন্য রেডিও কলার লাগানো হচ্ছে। প্রতি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো চলছে। বক্সার, নেওরাভেলী, জয়ন্তী, গরুমারা এবং সুন্দরবন এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এই ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে বাঘের গতিবিধি নজরদারী করতে। উল্লেখ্য, প্রায়ই অভিযোগ ওঠে জঙ্গল কেটে সাফ করার জন্য বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছেন।
এব্যাপারে এদিন বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতি বছর ৫০ লক্ষ গাছ বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বনমহোত্সবের মাধ্যমে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু এদিন জানিয়েছেন, এই গাছের মধ্যে যদি ২৫ শতাংশ গাছও বাঁচে তাহলেই অনেক উপকার হবে। তিনি এদিন জানিয়েছেন, গাছ কাটা, নদী নালা, খালবিল, জলাশয় ভরাট বন্ধ করতেই হবে। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী একটি প্রোজেক্ট তৈরী করে দিয়েছেন।