ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ সর্বভারতীয় মেডিকেল পরীক্ষা নিটের স্নাতকোত্তর স্তরের কাউন্সিলিং। ইতিমধ্যে এ নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে। কিন্তু এই মামলার ফলে বা এই কাউন্সিলিং না হওয়ার কারণে দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে পরবর্তী জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিতে পারছেন না। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটা চরম সংকট দেখা দিচ্ছে। এই সংকটের বিষয় নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট অভিযান করেছিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস বা ফোরডা।
বিজ্ঞাপন
আর এই অভিযানের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ করে দিল্লি পুলিশ। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দেন হাউস স্টাফরাও। এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, করোনার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ রেখে ডাক্তাররা মানুষকে পরিষেবা দিয়েছেন। অথচ তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
চিকিৎসকদের ঘাটতি মিটিয়ে পরিষেবাকে স্বাভাবিক রাখার দাবি জানাতে গিয়ে ডাক্তারদের ওপর পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। এই ঘটনার তাঁরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে নিটের কাউন্সিলিং দ্রুত না করা হলে তাঁরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলেও এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন। এদিন হাতে পোস্টার নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে নামেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি দিল্লীতে তাদের সহ কর্মীদের ওপর অন্যায় ভাবে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে গোটা রাজ্যজুড়ে এই আন্দোলন চলছে বলে জানান তারা। জুনিয়র ডাক্তারদের এই বিক্ষোভের ফলে আংশিকভাবে ব্যাহত হয় বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, জরুরী পরিষেবা বিভাগ স্বাভাবিক রয়েছে।
উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবে বলেও জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে নামায় রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি দেখা দেয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সুপার তাপস কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, প্রতিকি অবস্থান হলেও পরিষেবা কেনো ব্যাহত হয়নি। এদিন দুপুরের পর ডাক্তারদের এই কর্মবিরতি উঠে যায়।