দ্বারকেশ্বর নদীর বন্ধ বালি খাদান থেকে উঠছে বালি! পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের অভিযান

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মাধবডিহি: প্রশাসনিক নির্দেশে প্রায় পাঁচ বছর বন্ধ পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার অন্তর্গত দ্বারকেশ্বর নদীর মনিয়ারী বালি খাদ। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আজ অবধি এই বালি ঘাটের কোনো ই-অকসনই  হয়নি। তবুও এরই মাঝে আচমকাই কতিপয় বালি মাফিয়া প্রশাসনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি কাটা শুরু যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযানে আসে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিক ও অফিসার সহ মাধবডিহি থানার পুলিশ। সন্ধ্যার অন্ধকারে পুলিশের গাড়ি ঢুকতে দেখে বালি খাদে ভিড় করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরাও। মনিয়ারি খাদে গিয়ে দেখা যায় নদীর খুব কাছাকাছি দুটি বালি খাদান। তার মধ্যে একটি হলো মনিয়ারি এবং অন্যটি হলো হুগলির জেলার অন্তর্গত ভাপুর এলাকার বালি খাদান। বিগত চার থেকে পাঁচ বছর ধরে মনিয়ারী খাদে বালি তোলার কাজ প্রশাসনিক নির্দেশে বন্ধ থাকলেও যথারীতি বালি কাটার কাজ চলছে ভাপুর খাদে।

বিজ্ঞাপন

দ্বারকেশ্বর নদীতে মনিয়ারী খাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ভাপুরের বালি ঘাট হুগলি জেলার অন্তর্গত। কিন্তু নদীর গতি পরিবর্তনের কারণেই হোক কিংবা প্রাকৃতিক কোন কারণে নাকি এই বালি খাদের কিছুটা অংশ ঢুকে গিয়েছে মনীয়ারী বালি খাদানে। প্রায় ২০০ ফুটের মতো অংশ ভাপুরের বালি খাদ সরে এসেছে মনিয়ারি খাদের দিকে। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে কেউ বা কারা খাদ থেকে বালি তুলতে শুরু করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে মনিয়ারি খাদ। কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। তাই নদীর পূর্ব বর্ধমানের এই অংশ থেকে অন্য জেলার বালি কারবারিরা বালি তুলে নিয়ে চলে যাবে, তা মানতে নারাজ গ্রামবাসীরাও।

এদিকে বন্ধ বালি ঘাট থেকে বালি তোলার অভিযোগ পেতেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশে এদিনই বিতর্কিত বালি ঘাট পরিদর্শনে আসেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের রায়না ২ ব্লকের রেভিনিউ অফিসার মোহম্মদ রফিকুল। তবে পাশাপাশি থাকা দুই বালি খাদের মধ্যে কতটুকু অংশ পূর্ব বর্ধমানের মধ্যে আর কতটুকুই বা হুগলি জেলার মধ্যে পড়ছে সেই নিয়ে এদিনই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি আধিকারিক। এই বিষয়ে যে তার পরিষ্কার ধারণা নেই সেটাও তিনি জানিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে এই জায়গার মাপ যোগ করে দেখে যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ভূমি রাজস্ব আধিকারিক মোহম্মদ রফিকুল।

আরো পড়ুন