খন্ডঘোষে বন্ধ বালি খাদান থেকেই চলছে প্রতিদিন বালি চুরি, অবৈধ মজুদ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে আরো কিছুদিন বাকি। প্রতি বছরই বর্ষার আগেই নদ নদী থেকে বালি তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবছর সেটা কবে থেকে বন্ধ হচ্ছে সে ব্যাপারে এখনও কোন সিদ্ধান্ত না হলেও, নদ নদী থেকে বালি তুলে মজুদ করার কাজ রীতিমত জোর কদমে চলছে। যদিও জেলা ভূমি ও রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে জেলায় বৈধ বালি ঘাট রয়েছে মোট ৮৬ টি। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত বালি তুলে মজুদ করার অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন এমন ২৬জন কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দামোদর তীরবর্তী একাধিক এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এরই মধ্যে অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তুলে যত্রতত্র মজুদ করতে শুরু করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই অবৈধ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বালি ঘাটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধ ভাবে চলছিল বালি তোলার কাজ। মাস তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা ভূমি রাজস্ব দপ্তরের নির্দেশে সেই অবৈধ ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই খন্ডঘোষের রূপসা এলাকার দামোদর নদের সেই অবৈধ ঘাট থেকেই ফের শুরু হয়ে যায় বালি কাটার কাজ।

স্থানীয় কিছু বালি মাফিয়া প্রশাসনের নির্দেশ কে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিনের আলোতেই হোক বা রাতে দেদার বালি কেটে পাচার করে যাচ্ছিল। সম্প্রতি সেই খবর পাওয়ার পর খন্ডঘোষ ব্লক ভূমি আধিকারিকের নেতৃত্বে রূপসা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দশটি বালির গাড়িকে জরিমানার পাশাপাশি ওই ঘাটের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি।

বেপরোয়া বালি মাফিয়ারা প্রতিদিন দিনরাত দামোদরের রূপসা এলাকার হক এন্টারপ্রাইজ এর নামে বালি ঘাটের পয়েন্ট থেকে দেদার বালি চুরি করে পাচার করে চলেছে। খন্ডঘোষ ভূমি আধিকারিক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, ওই ঘাটের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। তারপরও যদি কোন অবৈধ কাজ ওই এলাকায় হয় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু রূপসার এই একটি বালি ঘাটই নয়, এই এলাকাতেই একাধিক অবৈধ বালি খাদান চলছে। কেউ কেউ আবার বৈধ বালি ঘাটের চালান ব্যবহার করে নদীর যেকোনো জায়গা থেকে বালি কেটে পাচার করে দিচ্ছে। ফলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি যাচ্ছে সরকারের বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন