ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: অনুপ্রবেশের অভিযোগে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি এক তরুণীকে। তাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকার এক যুবকেও। ধৃত বাংলাদেশির নাম নূরতাজ আখতার মিম (১৮)। বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগরে। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ শামিম (২২) নামে বর্ধমানের এক যুবককে। গ্রেফতারের পর ধৃতরা ফেসবুকে আলাপ ও প্রেমের গল্পের কথা শুনিয়েছে পুলিশ কে বলে জানা গেছে। যদিও তদন্তকারী অফিসারেরা গোটা ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখছে। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) অতনু ঘোষাল বলেন, “বিদেশি আইন মেনেই যা করার সেটা করা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে অনৈতিকভাবে শেখ শামিম ওই মহিলাকে এই দেশে নিয়ে এসেছে। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।” নূরতাজের বিষয়ে সমস্ত কিছু বিস্তারিত জানিয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের মাধ্যমে তার দেশে খবর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা শেখ জিন্নার আলি শনিবার বর্ধমান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানানো হয়, নূরতাজ আখতার মিম ও নাদি আখতার নামে দুই বাংলাদেশি মহিলাকে ভুল বুঝিয়ে বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার ও লস্করদিঘি এলাকায় নিয়ে এসে আটকে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তাদের এখানে বিক্রি করা হয় বলেও ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অভিযোগে জানিয়েছে। এর পরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নূর আখতার মিমের হদিশ পায়। তেঁতুলতলা বাজার এলাকার একটি বাড়িতে তার সন্ধান পায় পুলিশ।
নূরতাজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বাংলাদেশ থেকে কোনও পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই এদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। জেরায় নূরতাজ দাবি করে, মাসতিনেক আগে ভারতে এসেছে সে। শামিমকে বিয়ে করেছে মুসলিম মতে। স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই এখানে বসবাস করছিল। এদিকে শামিম দাবি করছে, ফেসবুকে তার সঙ্গে নূরতাজের পরিচয় হয়েছিল। সেখান থেকেই প্রেম। নূরতাজকে নিয়ে এসে বিয়ে করে মুসলিম ধর্ম মেনেই। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই বসবাস করেছে। নূরতাজকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শামিম।