ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গ্যাস সিলিণ্ডারে গ্যাসের বদলে ৬ কেজি জল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা শহর জুড়ে। যদিও অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি ওই ৬ কেজি গ্যাসের বদলে সিলিন্ডারের ভিতর জল পাওয়ায় ৬ কেজি গ্যাসের দাম পেয়ে গেছেন। কিন্তু বিষয়টা এখানেই থেমে যায়নি। বর্তমানে গ্যাসের দাম হু হু করে বাড়তে বাড়তে প্রায় হাজার টাকায় ধাক্কা মারছে। এই অবস্থায় মহার্ঘ্য গাসের দামে কেন ক্রেতা জল পাবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
বিজ্ঞাপন
বর্ধমান শহরের নীলপুরের এক বাসিন্দা আঁখি সিনহা জানিয়েছেন, তিনি কনজিউমার ফোরাম থেকে শুরু গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার সব স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। এখনও কোন সদুত্তর মেলেনি। যদিও গ্যাস সিলিণ্ডারে জল থাকা পরিমাণের টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত একটি সিলিণ্ডার ব্যবহার করে তাঁদের প্রায় একমাস দশ দিনের বেশি চলে। কিন্তু এবারই হঠাৎ গ্যাস ফুরিয়ে যায়। তারপর গ্যাস বুক করে নতুন সিলিণ্ডার নেন। কিন্তু তাদের সন্দেহ বাড়তে থাকে। কারণ, গ্যাস সিলিণ্ডার শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সিলিন্ডারের ওজন অনেক বেশি ছিল। এতেই সন্দেহ আরো দৃঢ় হয়। এরপরই গৃহকর্তা অঞ্জন সিনহা গ্যাস সংস্থার বর্ধমানের দপ্তরে সব জানান। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। উলটে তারা উপদেশ দেন, এবারে নেবার সময় সিলিণ্ডার ওজন করে নেবেন।
অঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, ডেলিভারি ম্যান যখন পুরনো সিলিণ্ডার নিতে আসেন তখন দেখা যায় তা সাধারণ খালি সিলিণ্ডারের থেকেও বেশি ভারী লাগছে। ওই ডেলিভারি ম্যানই তখন জানান, ওর মধ্যে ছ’কেজি জল আছে। তিনি অবশ্য দেরি না করে সমপরিমাণ গ্যাসের দাম ফেরত দিয়ে যান। সিনহা দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন এই ঘটনার সুরাহা হোক। আর যেন এমন কারো সঙ্গে না ঘটে। উচ্চমূল্যে গ্যাস কিনে যেন জল পেতে না হয়। এদিকে এই ঘটনার পর শহরবাসীর অনেকেই অভিযোগ করতে শুরু করেছেন রান্নার গ্যাস নিয়ে নানান দুর্নীতির বিষয়ে।
একাংশ জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে খালি সিলিন্ডার রিফিলিং এর কারবার চলছে। এক্ষেত্রে কোনো সিলিন্ডার সম্পূর্ণ খালি না করেই তাতে গ্যাস ভরে দেওয়ার হচ্ছে। ফলে ক্যামিক্যাল রিয়েকসনের কারণে সিলিন্ডারের মধ্যে জল জমে যাচ্ছে। আর এই কারচুপির আড়ালে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা মুনাফা লুটে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের বলে অভিযোগ। যদিও জেলা প্রশাসন এখনো এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেই গ্যাস ব্যবসায়ী দের একাংশের দাবি।