ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে নিহত অশোক মাঝির খুনের ঘটনায় বুধবার রাতে বর্ধমানের ২নং জাতীয় সড়কের শক্তিগড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হল মূল অভিযুক্ত শিবশংকর ঘোষকে। জেলা পুলিশের স্পেশাল টিম গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিবশংকর ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় নতুন করে ফের চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল শহর জুড়ে। পাশাপাশি, এই খুনের ঘটনার অভিযোগে নাম থাকা আরো দুজন তৃণমূল নেতার খোঁজ চলছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে। তারা হলেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রব এবং আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ পাপ্পু।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসিপাড়ায় শিবশংকর গোষ্ঠীর সমর্থকদের মারে খুন হন এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সৈয়দ মহম্মদ সেলিম গোষ্ঠীর সমর্থক অশোক মাঝি। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন অশোক মাঝির স্ত্রী চন্দনা মাঝি। এই খুনের পরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষ, প্রাক্তন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু এবং খোকন দাস অনুগামী আব্দুর রব সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে খুনে প্ররোচনা দেবার অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, এই খুনের ঘটনার পরই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক জল্পনা। সূত্রের খবর, এই খুনের ঘটনার পরই খোদ রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে জেলা পুলিশ উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করে। তৈরি করা হয় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। জানা গেছে, বুধবার শিবশংকর ঘোষ কলকাতা থেকে বর্ধমান ফেরার পথে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে শক্তিগড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। যদিও অভিযুক্ত বাকি নেতাদের এখনো খোঁজ পায়নি পুলিশ।
এদিকে, এই খুনের ঘটনার পর ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা থাকায় বৃহস্পতিবার ৬নং ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্পকে বাতিল করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এদিন এই ওয়ার্ডে রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ক্যাম্প হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে ঝামেলা এড়াতে এবং উপভোক্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শিবির বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সৈয়দ মহম্মদ সেলিম।