---Advertisement---

বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরমে, দুপক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, উত্তেজনা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান পৌরসভায় পৌর  প্রশাসক বোর্ড নিযুক্ত হওয়ায় পর থেকেই গোটা শহর জুড়ে চলতে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চরম আকার নিলো। খোদ বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস গোষ্ঠীর সঙ্গে বিধায়কের বিরোধী গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষে বর্ধমানের খালাসিপাড়া এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল শহর জুড়ে। 

বিজ্ঞাপন

মৃত ব্যক্তির নাম অশোক মাঝি। মারধরের ঘটনায় ৬নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সৈয়দ মোহাম্মদ সেলিম গোষ্ঠীর আরো বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন খোদ মহম্মদ সেলিম। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি করার পর বর্ধমান হাসপাতালেই মৃত্যু হয় অশোক মাঝির। মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, বিধায়ক ঘনিষ্ট শিবশংকর ঘোষ এলাকার দখল নিতেই ৬ নং ওয়ার্ড জুড়ে বেশ কিছুদিন ধরে লাগাতার সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে। এদিন তারই নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এমনকি তাঁকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করে দুস্কৃতিরা।

ঘটনার খবর পেয়েই বর্ধমান জেলা পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় , ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সৌভিক পাত্র, বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মারধরে এক ব্যক্তির মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে না। সংঘর্ষের ঘটনায় কারা যুক্ত ছিল সে ব্যাপারে তদন্ত তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গতকালই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূলের নেত্রী মনিকা মন্ডল তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হন। তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রব এবং শিবশংকর ঘোষের অনুগামীরা মোহাম্মদ সেলিমের লোকজনের উপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনার পর থেকেই খালাসিপাড়া এলাকা উত্তপ্ত হতে শুরু করে।

বর্ধমান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ সেলিম বলেন, এদিন পৌরসভার কিছু কাজ সেরে ফেরার সময় খালাসীপাড়া এলাকার সেখ ইমদাদুল সহ তার লোকজন রড,লাঠি, বাঁশ নিয়ে আক্রমণ করে তাঁকে। রডের আঘাত থেকে বাঁচতে তিনি হাত দিয়ে আটকে কোনরকমে বেঁচে যান। তাঁর হাত রডের আঘাতে ফুলে গিয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে জানান। মহম্মদ সেলিম এই হামলার পিছনে খোকন দাসের অনুগামী শিবু ঘোষের সক্রিয় মদত রয়েছে বলেই অভিযোগ করেছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বর্ধমান জেলার সাধারন সম্পাদক শিবশঙ্কর ঘোষ। 
See also  গলসি তে ফের ঢুকে পড়ল দুটি দাঁতাল হাতি
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---