বর্ধমানে আরপিএফের হাতে গ্রেপ্তার এক পাখি পাচারকারী, উদ্ধার ৫৬টি টিয়া ও ৪টি ময়না

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পাখি পাচার করার সময় বর্ধমান স্টেশনের ৪ নং প্ল্যাটফর্ম থেকে এক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান স্টেশনের রেল সুরক্ষা বাহিনীর পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ জাহিদ(২৭)। বাড়ি বর্ধমানের হরেরডাঙ্গা, দুবরাজ দক্ষিণ পাড়া রোড এলাকায়। আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের কাছ থেকে তিনটি নাইলন ব্যাগের ভিতর তিনটি খাঁচায় ৫৬টি দেশী টিয়া পাখি ও ৪টি ভারতীয় প্রজাতির ময়না উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত তার অপরাধ স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতকে এরপর বন্য প্রাণী সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করে বিভাগীয় বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসারের হাতে তুলে দে

বিজ্ঞাপন

ওয়া হয়েছে।

আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে, “অপারেশন WILEP” এর অধীনে বর্ধমান রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন প্লাটফর্মে নজরদারি চালানোর সময় শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ৪নং প্লাটফর্মে এক ব্যক্তিকে কাঁধে তিনটি নাইলনের ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরতে দেখে আরপিএফের কর্তব্যরত অফিসারেরা। ওই ব্যক্তিকে দাঁড় করিয়ে তার ব্যাগ গুলো তল্লাশি করতেই তিনটি খাঁচায় প্রচুর পাখি দেখতে পায় তারা। ধৃত ব্যক্তি এতো পরিমাণ পাখি কোথা থেকে, কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল তার সদুত্তর দিতে না পারায় এবং কোন বৈধ কাগজপত্র তার কাছে না থাকায় পুলিশ মহম্মদ জাহিদ কে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি পাখি ভর্তি ব্যাগ গুলোকেও বাজেয়াপ্ত করে।

বর্ধমান ডিভিশনের বিভাগীয় বনাধিকরিক নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘আরপিএফ একজন পাখি পাচারকারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্য প্রাণ সুরক্ষা আইনের ধারায় মামলা রুজু করে আগামীকাল বর্ধমান আদালতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হওয়া পাখিগুলোকে কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার পর প্রকৃতি তে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন