পুলিশকে লাথি মেরে মার্ডার কেসের আসামি পালালো, হিন্দি সিনেমার কায়দায় ফের ধরে ফেলল ভাতারের সিভিক ভলান্টিয়ার

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে, এমনকি পুলিশ কে লাথি মেরে আসামি পালিয়ে যাবার পর রীতিমত হিন্দি সিনেমার কায়দায় সেই আসামিকেই একক কৃতিত্বে ধরে ফেলল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার রোমহর্ষক এই চোর পুলিশের খেলা ঘটলো ভাতারের স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন পুলিশি হেফাজতে থাকা শাশুড়ি খুনের আসামি প্রসেনজিৎ দোলুই(২৭) কে পুলিশি নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য ভাতারের স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। 

বিজ্ঞাপন
আসামীর সঙ্গে ছিলেন নরেশ সোনার ও ভাস্কর ঘোষ নামে দুই পুলিশকর্মী এবং মিঠুন চন্দ্র সাঁতরা নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। স্বাস্থ্যপরীক্ষা শেষ করে আসামীকে গাড়িতে তোলার সময় নরেশবাবুকে জোরে একটা লাথি মেরে পালায় প্রসেনজিৎ। কাঁটার গ্রামের ভিতর দিয়ে ছুটতে থাকে আসামী। পুলিশও আসামির পিছনে তাড়া করে। শেষে কাঁটারি গ্রাম পেড়িয়ে ফাঁকা মাঠে একটি পোলট্রি ফার্মের কাছে ধরা পড়ে যায় আসামী। 
জীবন বাজি রেখে সিভিক ভলান্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরা ওই আসামীকে ধরতে গেলে আসামি তাঁর হাতে নখ দিয়ে জোরে আঁচড় বসিয়ে দেয়। যদিও প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টার পর শেষমেষ পুলিশ ধরে ফেলে আসামিকে। সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠুন চন্দ্র সাঁতরার হাতে চোট লাগে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় ভাতার ব্লক হসপিটালে। ভাতার থানার ওসি প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ওই আসামীর বিরুদ্ধে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে একটি কেস করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গতসপ্তাহে ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে লীলা আগরওয়াল(৪৪) নামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে বোঝা যায় তাকে খুন করা হয়েছে। ওই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মৃতার জামাই প্রসেনজিৎ দলুই(২৭)কে। গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলার পর পাঁচদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ওই আসামীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। আর এরপর পুলিসকেই লাথি মেরে পালিয়ে যাবার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। 

আরো পড়ুন