ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খন্ডঘোষ: একে তো চূড়ান্ত বেহাল অবস্থা রাস্তার, তারই মধ্যে শয়ে শয়ে যাতায়াত করছে বেপরোয়া বালির গাড়ি। ফলে একদিকে যেমন প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ কে, অন্যদিকে দুর্ঘটনা এই রাস্তায় প্রায় প্রতিদিন লেগেই রয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ খন্ডঘোষ থানার সালুন মোড় এলাকায় বর্ধমান – বাঁকুড়া রোডে এমনি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন একটি অতিরিক্ত বালি বোঝাই লরির চালক।
দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বালি বোঝাই লরির চালক কেবিনের মধ্যেই একপ্রকার চাপা পড়ে যায়। তার শরীর কেবিনের যন্ত্রাংশে আটকে যায়। রীতিমত পে লোডার দিয়ে লরির সামনের অংশ সামনের দিকে টেনে ভেঙে ফেলে চালক কে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। যদিও দুর্ঘটনার প্রায় আধ ঘণ্টা পর খন্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জখম চালককে চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে সালুনের দিক থেকে একটি বালি বোঝাই লরি বাঁকুড়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। উল্টোদিক অর্থাৎ বাঁকুড়া মোড়ের দিক থেকে একটি খালি লরি খন্ডঘোষের দিকে আসছিল। আচমকাই খালি লরিটি সরাসরি বালি বোঝাই লরিটি কে ধাক্কা মারে। চালক যেদিকে বসে থাকে সেই কেবিনের মুখোমুখি ধাক্কা মারায় কেবিন টি চালকের আসন সহ ভিতরে ঢুকে যায়। চালকের শরীর দুমড়ানো কেবিনের মধ্যে আটকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন,’ বাঁকুড়া মোড়ের দিক থেকে একটি খালি বালির লরি আসছিল। রাস্তার পাশে একটা ছোট গাড়ি দাড়িয়ে ছিল। দ্রুত গতিতে আসা লরিটি হটাৎ সেই গাড়িটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে সামনে থেকে আসা একটি বালি বোঝাই লরির সামনে সজোরে ধাক্কা মারে দেয়। খুব জোর বেঁচে গেছে লরির ড্রাইভার। এই বেহাল রাস্তা মেমারতের বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত প্রশাসনের। লরির গাড়িগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণেও খন্ডঘোষ থানার পুলিশ কে আরো সক্রিয় হতে হবে। না হলে এই ধরনের দুর্ঘটনা লেগেই থাকবে প্রতিদিন।’