কেতুগ্রামের পর এবার শক্তিগড়, স্ত্রীর নার্সের চাকরি নিয়ে স্বামীর আপত্তি, মারধর, ছিঁড়ে দেওয়া হল কাগজপত্র, গ্রেপ্তার স্বামী

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,শক্তিগড়: স্ত্রী নার্সের চাকরি করবে তা পছন্দ না হওয়ায় স্বামী সরিফুল শেখ তার স্ত্রী রেনু খাতুনের হাত কেটে নিয়েছিল। সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের এই নৃশংস ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে হৈচৈ পড়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার পর অসুস্থ রেনু খাতুনের চিকিৎসা ও চাকরির নিশ্চয়তার বিষয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটার পর ফের একই মানসিকতার প্রতিফলন দেখা গেল শক্তিগড় থানার অধীনে জোতরাম এলাকায়।
এবার নার্সের চাকরি করার অভিযোগে এক গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠলো স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনকি স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে স্বামী বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি মহিলাকে মারধোরের পাশাপাশি চাকরির আবেদন সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিঁড়ে দিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী।

বিজ্ঞাপন

শক্তিগড় থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী রাহুল মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমানের জোতরামের বাসিন্দা রাহুল মিশ্রর সঙ্গে বছর খানেক আগে বিয়ে হয় খণ্ডঘোষের ব্রততী চট্টোপাধ্যায়ের। ব্রততী নার্সের চাকরি করতেন। তার এই কাজ রাহুলের পছন্দ ছিল না। স্ত্রী নার্সের চাকরি করুক সেটা কোনও ভাবেই চাইত না রাহুল। তাই প্রায়ই এইনিয়ে অশান্তি হত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।

শুক্রবার অশান্তি চরমে পৌঁছয়। এদিন ব্রততীকে মারধোর করে তাঁর চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র ছিঁড়ে দেয় স্বামী রাহুল বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করা হয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ব্রততী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে শক্তিগড় থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে স্বামী রাহুল মিশ্র কে। উল্লেখ্য ব্রততী ও রাহুলের দুমাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বর্ধমানের ডিএসপি অতনু ঘোষাল বলেন,’ওই মহিলা একটি বধূ নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে চাকরিতে আপত্তি বা এই ধরণের কোনও অভিযোগ উনি আমাদের কাছে করেননি। তাই কেতুগ্রামের ঘটনার সঙ্গে এটা না মেলানোই ভালো। সাধারণ বধূ নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা পদক্ষেপ করেছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’

আরো পড়ুন