ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: নির্দিষ্ট পরিমানের চেয়ে অতিরিক্ত বালি নদী ঘাট থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মূল সড়কে ওঠার আগে ওয়ে-ব্রিজে (weigh bridge ওজন সেতু বা ধর্ম কাঁটা) এসে ওজন করিয়ে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত বালি গাড়ি থেকে কেটে ফেলে দিয়ে তারপরই সঠিক কাগজ নিয়ে বালির গাড়ি রাস্তায় ওঠে। বর্ধমানে রায়না থানার হিজলনা পঞ্চায়েতের হিজলনায় কোল্ড স্টোরেজের পাশেই রাস্তার ধারে রয়েছে একটি ওয়েব্রিজ। প্রতিদিন কয়েকশো বালির গাড়ি এই কাঁটায় দাঁড়িয়ে গাড়ি থেকে অতিরিক্ত বালি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে বলে স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ। ফলে পিচের রাস্তা কার্যত সারাদিন রাত বালির তলায় চলে যাচ্ছে। বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল।
স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, প্রতিবছরই এই কাঁটার সামনের রাস্তা বালিময় হয়ে থাকে। মূলত ওয়েব্রিজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই গাড়িগুলো থেকে বালি কাটার পর সেই বালি রাস্তায় চলে আসছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, বাঁধগাছা থেকে হিজলনা পর্যন্ত রাস্তায় তিনটি ওয়েব্রিজ রয়েছে। অন্য দুটি ওয়ে-ব্রিজ এলাকার সামনের রাস্তা পরিষ্কার থাকলেও, হিজলনা এলাকার ওয়েব্রিজ টির সামনে এবং আশপাশের বেশ কিছুটা জায়গা কার্যত বালি তে ভর্তি হয়ে থাকে।
অভিযোগ, হালদার ওয়েব্রিজ নামে এই কাঁটার উল্টোদিকেই রয়েছে দু দুটি বালি ঘাট। সেগুলি থেকে এবং জামালপুরের দিক থেকে দামোদর নদের বালি ঘাট থেকে বালি বোঝাই করে শয়ে শয়ে ডাম্পার, ট্রাক্টর এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে প্রতিদিন। তার মধ্যে বেশ কিছু অতিরিক্ত বালি বোঝাই গাড়ি এই কাঁটায় দাঁড়িয়ে বালি ওজন করে বাড়তি বালি কেটে সেখানেই ফেলে দিয়ে চলে যায়। জানা গেছে, ওজন করার জন্য নির্দিষ্ট একটা টাকা নেওয়ার পরেও পড়ে থাকা কয়েকশো সিএফটি বালি এই কাঁটার মালিকপক্ষ পরবর্তীতে বিক্রি করে মুনাফা লুটে নেয়। কিন্তু রাস্তায় পরে থাকা বালি পরিষ্কারের কোন উদ্যোগই নেয় না বলেই অভিযোগ। এই বিষয়ে রায়না থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খুব শীঘ্রই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।