ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: কয়েকদিন আগেই বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ ব্লকের জাগুলীপাড়া এলাকা। ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর অনুগামীদের সঙ্গে বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজনের সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরী হয়েছিল গ্রামজুড়ে। একাধিক বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠে এসেছিল গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। সংঘর্ষের ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছিল। ঘটনার পরই পুলিশ দুই পক্ষের ১৪জনকে রাতেই গ্রেপ্তার করে। পরেরদিন আদালতে পেশ করে ধৃতদের মধ্যে চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জাগুলীপাড়া থেকেই দু জায়গায় মোট ৯টি বোমা উদ্ধার করে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার রাতে গলসির জাগুলিপাড়া গ্রামের মোড়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর চালালো দুস্কৃতীরা।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পর এলাকায় ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় কে বা কারা জড়িত, সে ব্যাপারে কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বিধায়ক গোষ্ঠী ও ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর লোকজনও কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল কার্যালয়ের ছাউনি, পতাকা, অ্যাসবেস্টস ও শহীদ বেদী ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, গ্রামের মোড়ে পার্টি অফিসটি গলসি ১ নং ব্লক তৃনমুল সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জীর লোকেরা চালাতেন। কদিন আগে গ্রামে বোমাবাজির ঘটনায় জড়ায় বিধায়ক নেপাল ঘরুই ও ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী লোকেরা। তারপর থেকে গ্রামে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল। রবিবার রাতে ব্লক সভাপতি অনুগামীদের পার্টি অফিস ভাঙচুর হওয়ার পর ফের নতুন করে আতংকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চ্যাটার্জ্জী বলেন, ‘ পার্টি অফিসে রাতে কেউ বা কারা ভাঙচুর করেছে। পুলিশ কে জানিয়েছি। তবে এই ঘটনায় রাজনীতির কোন বিষয় নেই বলেই মনে হচ্ছে। কারণ পৌষ সংক্রান্তির রাতে পিকনিক করার জন্য কিছু মদ মাতাল এই কান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ বিষয়টা দেখছে।’ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে কারা এই কাজ করেছে সেই বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তের শুরু করেছে।