ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: স্কুল ছুটির পর নাতি কে নিয়ে কার্জন গেট এলাকা থেকে স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন দাদু। একটি স্কুল বাস কে সাইড দিতে গিয়ে টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার ধারে রাখা আম্রুত প্রকল্পের পাইপে ধাক্কা মেরে নাতি কে নিয়েই উল্টে গেলেন রাস্তার ওপর। পড়ে গিয়ে কপাল ফেটে ঝরঝর করে রক্ত বেরিয়ে গেল নাতি অংশুমান হাজরার। জখম হলেন দাদুও। তাঁর শরীরেরও বেশ কয়েকটি জায়গায় চোট লেগেছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বর্ধমান শহরের কালীবাজার এলাকায় জিটি রোডে। যদিও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় বড় কোন ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ দ্রুত জখম প্রাথমিকের ছাত্র অংশুমান কে ও তার দাদুকে উদ্ধার করে জিটি রোডের ওপর একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অংশুমানের কপালে আঘাত লেগেছে। নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তার দাদুরও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায়। তবে পুলিশ যে তৎপরতার সঙ্গে দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে গেছেন, তার প্রশংসা করেছেন চিকিৎসকরা। বেসরকারি হাসপাতাল হলেও জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো টাকা নেয়নি বলে সূত্রের খবর।
এদিকে পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী থেকে বাসিন্দারা। জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং বলেন, ‘ ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় আমি খুশি। যেভাবে দুর্ঘটনার পরই তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এতে পথচলতি সাধারণ মানুষের ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা পুলিশের ওপর আরো ভরসা বাড়বে। তবে রাস্তায় বেড়িয়ে আরো সতর্ক ভাবে দু চাকা যান চালানোর জন্য সকলের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি।’