বর্ধমানে কোন নোটিশ ছাড়াই জবরদখলকারী বিজেপি পরিবারের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের দিকে, উত্তেজনা বর্ধমানে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ব্যক্তিগত মালিকানার জমি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে দখল করে রাখা একটি বিজেপি সমর্থিত পরিবারের বাড়িকে সাতসকালে জেসিপি দিয়ে ভেঙে তছনছ করে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানের পুলিশ লাইন এলাকার উত্তরাপল্লী এলাকায়। ঘটনার পিছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সমর্থক প্রশান্ত আইচ ও তার পরিবারের লোকজন। 

বিজ্ঞাপন

প্রশান্ত আইচ জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি করেন। বর্ধমানের এই পুলিশ লাইন উত্তরাপল্লীর জিটি রোডের পাশের জায়গায় তাঁরা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু এদিন সকালে জেসিপি নিয়ে এসে জনৈক মহম্মদ হোসেন এবং কয়েকজন তৃণমূল নেতা জোর করে তাঁদের বাড়ি থেকে বার করে দিয়ে জেসিপি লাগিয়ে গোটা বাড়ি ভেঙে দেয়। অন্যদিকে মহম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, এই জায়গা তিনি কিনেছেন। তাই জায়গার দখল নিতেই তিনি জবরদখল উচ্ছেদ করেছেন। যদিও এদিন প্রশান্ত আইচ, তাঁর মা পূর্ণিমা আইচ এবং বোন মৌমিতা সরকার জানিয়েছেন, বাড়ি ভাঙার আগে কোনো নোটিশই দেওয়া হয়নি। ঘরের জিনিসপত্র সহ সমস্ত কিছুই জেসিপি দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। 

এদিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির চাল সহ সমস্ত কিছুই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাস্তায় পড়ে রয়েছে। প্রশান্ত আইচ জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি করেন বলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতিও। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কোনো অশান্তির মধ্যে থাকেন না। কাউকে কোনোদিনই তিনি হুমকি দেনও নি। তিনি বিজেপি দলকে ভালবাসেন। কিন্তু এদিন তার বাড়ি ভাঙা হল সম্পূর্ণ গায়ের জোরে। এমনকি বাধা দিতে গেলে তাঁর দাদাকেও মারধর করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই এভাবে তাঁদের সর্বস্বান্ত করে দেওয়ার অধিকার এদের কে দিয়েছে? 

প্রশান্ত আইচ জানিয়েছেন, পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ অনেক দেরীতে ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ তাঁদের লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেছেন। প্রশান্ত আইচ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চাইবেন। অন্যদিকে, এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্যক্তিগত মালিকানার জায়গায় ওনারা জোর করে দখল করে রেখেছিলেন। জমির মালিক উচ্ছেদ করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। যাঁর জমি তিনি দখল নিতে গেছেন। এব্যাপারে যদি কোনো আপত্তিকর কিছু থাকে তাহলে আইন প্রশাসন তা দেখবে।

আরো পড়ুন