ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি তোলার প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই অবৈধ ভাবে চলছিল বালি তুলে পাচারের কাজ। আর এই খবর পাওয়ার পর গলসি থানার পুলিশ এবং গলসি ১ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা যৌথভাবে অভিযান চালালো গলসির শিল্ল্যাঘাটের সিমাসিমিতে।
বিজ্ঞাপন
অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর, ঋদ্ধি ব্যানার্জি জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্র মারফৎ তথ্যের ভিত্তিতে এদিন গলসি থানার দামোদরের শিল্ল্যাঘাট এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে অনেকে পালিয়ে গেলেও সেখ পাভেল ওরফে আসিফ হোসেন এবং সেখ জাকির হোসেন নামে দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের বাড়ি পুরসায়। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি জেসিবি মেশিন ও একটি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করেছে গলসি ১নং ভূমি সংস্কার দপ্তর। পাশপাশি আরো দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা গাড়ির চালক এবং খালাসি। তাদের নাম সুরজিৎ ঘোষ, বাড়ি উপর শিল্ল্যা এবং রণজিৎ রুইদাস, বাড়ি শিল্ল্যার দাসপাড়া।
জানা গেছে সিমাসিমি এলাকার দামদর নদের পাশে যে রাস্তার দিয়ে অবৈধভাবে বালি তুলে মজুদ করার কাজ চলছিল সেটি লিজ হোল্ডার দীনবন্ধু দাস বৈরাগ্যের নামে রয়েছে। যদিও দীনবন্ধু দাস বৈরাগ্য জানিয়েছেন, এক বছর আগে শেখ আসিফ হোসেন কে চুক্তিপত্র করে লিজ দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তার কোন যোগ নেই। জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার অধীনে দামোদরের ঘোড়াডাঁঙা মৌজায় বালি চুরি করে পূর্ব বর্ধমানের গলসি এলাকায় মজুদ করে ট্রাকে করে পাচার চালাচ্ছিল স্থানীয় কয়েকজন অবৈধ বালি কারবারী। গতকাল থেকেই চলছিল ওই অবৈধ বালি ঘাটটি বলে জানতে পারা গেছে।
খবর পেয়ে গলসি থানার বিশাল পুলিশ ও ভূমি দপ্তরের টিম ঘটনাস্থলে হানা দিলে অনেকেই পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এরই মধ্যে চারজন কে ধরে ফেলে পুলিশ। সুত্রের খবর গতকাল রাত থেকে বাঁকুড়ার দিকের মৌজায় নদীতে পাইপ ঢুকিয়ে বালি তুলে সেই বালি গলসি দিকের মৌজায় পাড়ে এনে মজুত করছিল অসাধু বালি কারবারিরা। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই বালি গাড়ি করে পাচার করা চলছিল। এই সময় যখন একটি ট্রাকে বালি লোড করা চলছিল সেই সময় আচমকা হানা দেয় গলসি থানার পুলিশ ও ভূমি দপ্তর। পুলিশ জানিয়েছে, ভূমি দপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট কেস রুজু করা হচ্ছে।