রেলের ‘ তুঘলকি ‘ নোটিশ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য বাঁকুড়া – মশাগ্রাম লাইনের সেহারাবাজার এলাকায়

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: টানা ৭ ঘন্টা অর্থাৎ শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বর্ধমান – আরামবাগ রাজ্য সড়ক। শনিবার সন্ধ্যায় সেহারাবাজার রেল গেটের কাছে রেলের পক্ষ থেকে জারি করা এমনি নোটিশ ঘিরে তীব্র আলোড়ন ছড়াল। একইসঙ্গে এই নোটিশ ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। রেলের জারি করা নোটিশে কোথাও উল্লেখ করা নেই জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে কোন কোন পণ্যবাহী গাড়িকে ছাড়া হবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্স এর যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কোনো নির্দিষ্ট নির্দেশিকা সেই নোটিশে উল্লেখ করা নেই।

বিজ্ঞাপন

স্বাভাবিকভাবেই রেলের এই নির্দেশিকায় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে  ব্যবসাদাররা রীতিমত ক্ষুদ্ধ। রাতভর যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকালে কলকাতা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও হুগলির সঙ্গে বর্ধমান আরামবাগ হয়ে জাতীয় সড়কের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা কার্যত বিভীষিকায় পরিণত হবে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামীকাল ৬/৪/২০২৪ থেকে রেল গেট মেরামতের জন্য  রেলগেট রাত্রি ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। সমস্ত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সূত্র মারফত জানা গেছে, গতকালই রেলের পক্ষ থেকে খন্ডঘোষ থানা সহ সংশ্লিষ্ট থানা গুলোকে কে এই রাস্তা বন্ধ রেখে কাজ করার বিষয়ে জানিয়ে ছিল রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেহারাবাজার এলাকার মানুষ সকাল থেকে এই বিষয়ে কিছুই জানতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই সন্ধ্যার পর রেলগেটের আশপাশে  STOP লেখা বোর্ড এবং রেলের নোটিশ দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন স্থানীয় ব্যবসাদার থেকে এলাকাবাসী।

যদিও এই নোটিশ এর প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনোভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে খন্ডঘোষ থানার পক্ষ থেকে জানা গেছে, রেল শুক্রবার সেহারাবাজার রেল লাইনের কাজের জন্য কয়েকঘন্টা মূল সড়ক কে বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়েছিল। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে টানা সাত ঘণ্টা এই গুরুত্বপূর্ন রাস্তা বন্ধ রাখা সম্ভব নয় বলেও রেল কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরই রেলের পক্ষ থেকে সেই সময় কমিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন রাত দশটা নাগাদ রেল বাঁকুড়া – মশাগ্রাম রেল ট্র্যাকের কাজ শুরু করলেও এদিন রাত ১২টার মধ্যে কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে রেলের এই তুঘলকি কর্মকাণ্ডে কার্যত বেজায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, একটা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়ক কে টানা সাত ঘণ্টা বন্ধ রেখে কোন কাজ করার ফরমান জারি করে কি ভেবে রেল কর্তৃপক্ষ! তার ওপর নোটিশে জরুরি পরিষেবা মূলক গাড়ি ছাড়ার বিষয়েও কোনো উল্লেখ করার প্রয়োজন মনে করেনি রেল। এটা কি মগের মুলুক নাকি!

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রেল ট্র্যাকের কাজের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের জানানো সময়সীমা কাটছাঁট করে দেড় ঘণ্টার মধ্যে আনা হয়েছে। ততক্ষণ আরামবাগ ও বর্ধমান এর দিক থেকে আসা সমস্ত গাড়িকে যথাক্রমে শ্রীধর মোড় ও সগরাই মোড় হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন