ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ফি বছর দামোদর গিলছে বিঘের পর বিঘে দো ফসলি, তিন ফসলি জমি। আর দামোদরের এই স্বভাবে দোসর হয়ে উঠেছে বালি চোরেরা। ফলে প্রতি বছর পুর্ব বর্ধমান জেলার বিশেষ করে চরমানা, গৈতানপুর, বেলকাশ অঞ্চলের চাষীরা হারাচ্ছেন তাঁদের রুজি, রুটি। তবু এখনো কোনো হেলদোল দেখা যায়নি প্রশাসনের। ফলে অসহায় চাষীদের ক্ষোভ বাড়ছে তিলে তিলে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে পুর্ব বর্ধমান জেলার একদিকে যেমন ভাগীরথীর ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে পুর্বস্থলী অঞ্চলের একের পর এক গ্রাম, তেমনি অজয়ের ভাঙনের কবলেও পড়ছে একাধিক গ্রাম। আর এই দুইয়ের মাঝে করুণ পরিনতির শিকার হয়ে চলেছেন দামদরের চরমানা গৈতানপুরের বাসিন্দারা।
যদিও এ ব্যাপারে পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, জেলার সামগ্রিক এই নদী ভাঙন নিয়ে আগামী শুক্রবার জেলার সমস্ত বিধায়ক, জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিক, সেচ দপ্তর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে তাঁরা আলোচনায় বসতে চলেছেন। কিভাবে এই ভাঙন রোধ করা যায়, কেন পাড় বাঁধাইয়ের কাজ থমকে গেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অবৈধভাবে বালি তোলার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।