ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কেতুগ্রাম: অমবুবাচী উপলক্ষে জঙ্গলে বেপরোয়াভাবে বন্যপ্রাণী শিকার করার অপরাধে কেতুগ্রামে ৩০জন শিকারী কে গ্রেপ্তার করলো বন দপ্তর। রবিবার অভিযুক্ত শিকারী দের কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিভাগীয় অতিরিক্ত বনাধিকারিক সোমনাথ চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন মোতাবেক অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আদালতের আদেশ অনুসারে মৃত পশুদের ময়না তদন্ত করার পর তাদের সৎকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষ কে বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধে আরো বেশি সচেতন করতে প্রচার চালানো হবে।’
জানা গিয়েছে, অমবুবাচী উপলক্ষ্যে প্রতিবছর আদিবাসীদের শিকার উৎসব হয়৷ প্রতিবছর কেতুগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বীরভূম জেলা থেকে প্রচুর শিকারী আসে। তারা মূলত পাখি সহ অন্যান্য বন্য পশু শিকার করে নিয়ে যায়৷ এবার আগে থেকেই তিনদিন ধরে নজর চালাচ্ছিল বন্যপ্রান নিয়ে কাজ করা হিউম্যান অ্যাণ্ড এনভায়োরেন্টমেন্ট অ্যালায়েন্স লিগ বা হিল নামক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷ এদিন কেতুগ্রামের কোমরপুর ও গোপালপুর গ্রামের আশেপাশেই বীরভূম থেকে তীর, ধনুক, গুলতি সহ নানা শিকারের সরঞ্জাম নিয়ে বেশ কয়েকটি দল আসে৷ তারা মোটর ভ্যান, ট্রাকটর ও বাইক নিয়ে আসে৷ সারাদিন ধরে তারা শিকার করে৷
বিকেলের দিকে বনদপ্তর, হিলের লোকজন ও কেতুগ্রাম থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালায়৷ তারপরেই সন্ধ্যের দিকে ৩৮ জনকে আটক করে। তাদের ঝুলি দেখেই চোখ কপালে ওঠে বনদপ্তরের৷ শয়ে শয়ে পশু কে মারা হয়েছে। মৃত বন্যপ্রানীদের মধ্যে রয়েছে ১২ রকম প্রজাতির গোসাপ, বনবিড়াল, কাঠঠোকরা পাখি, নেউল, বেজি, বক, শালিখ, তাবুক সহ নানা প্রজাতির পাখি। হিলের সদস্যরা জানান, মৃত বন্যপ্রানীদের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০ র কাছাকাছি। যদিও বন দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে মৃত পশুর সংখ্যা প্রায় ৩০০টি। রাতেই কেতুগ্রাম থানায় পৌঁছান কাটোয়া রেঞ্জের রেঞ্জার শিবপ্রসাদ সিনহা। তিনি বলেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।