ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: গলসির শিল্ল্যা ঘাটে দামোদরের বাঁধের উপরে অবৈধ ভাবে মজুত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বালি। এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। ঘটনাটি এখনও প্রশাসনের নজরে না এলেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চর্চা। সরকারী সম্পদ চুরি করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে নদী বাঁধে বালি মজুদ করাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে এলাকায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি নিয়ে বার বার সবর হলেও তাতে আমল দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসনের একাংশ বলে অভিযোগ। যার জন্য বালি চুরির প্রবনতা ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বলে ধারনা অনেকের।
দিনের পর দিন দামোদর নদ থেকে চুরি করে বালির পাহাড় তৈরি করলেও ব্লক ভূমি রাজস্ব দফতরের কোন অধিকারীকের কোন হেলদোল নেই বলেই স্থানীয় বসবাসকারীদের একাংশে অভিযোগ। প্রশাসনের নাকের ডগায় পাচারের উদ্দেশ্যে বালি মজুত হলেও কোন নজরদারি নেই প্রশাসনের। তাহলে কি সরকারি সম্পদ এই ভাবেই চুরি হয়ে যাবে! প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। তাছাড়াও, চুরির বালি পাচার করতে ভিন জেলার অবৈধ চালান ব্যবহার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, বালি পাচারের জন্য একই নম্বর প্লেট ব্যবহার হচ্ছে চারটি করে গাড়িতে। আর এই ভাবেই সরকারি কোটি কোটি টাকার রাজস্ব লুট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহনাওয়াজ মন্ডলের অভিযোগ, শিল্ল্যাঘাটের বাবলাতলায় অবৈধ ভাবে কমবেশি ৫ থেকে ৬ লক্ষ সিএফটি বালি অর্থাৎ ৭-৮ হাজার গাড়ি বালি মজুত করা রয়েছে। অথচ সেই ঘাটের লিজ কয়েকমাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারপরেও কিভাবে বা কাদের সাহায্য নিয়ে ওই বালি মজুত হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তার ধারনা, বালি পূর্ব বর্ধমানের গলসি এলাকায় মজুত করা হলেও তা তোলা হয়েছে বাঁকুড়ার দেউল পাড়া মৌজা থেকে।
তিনি বলেন, সরকারী নিয়মে প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নদী বাঁধের উপরে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ভারি যান চলাচল বন্ধ রাখে প্রশাসন। তাহলে ওই মজুদ বালি বাঁধের উপরে গাড়ি করে কিভাবে বের করা হবে সেটাও আমরা দেখবো। তিনি জানান, বাবলাতলা ঘাটটি আসল লিজ প্রাপকের থেকে লিজ নিয়েছিলেন খন্ডঘোষের দিকের দুই বালি ব্যবসায়ী। তবে সেই লিজ গত ৪ জানুয়ারী ২০২৩ এ শেষ হয়ে গেছে। তারপরও নদী থেকে তুলে কয়েক কোটি টাকার বালি অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। শাহনাওয়াজ বলেন, ওই বালি থেকে সরকার কোটি টাকার রয়্যালটি পাবে, নাকি সরকারি সম্পদ লুট হবে সেটাই এখন দেখার। কারণ এই মজুদ বালির পরিমাপ এখনও সরকারি ভাবে নাকি হয়নি।