গদ্দার সাংসদকে আর দলে ফেরানো যাবে না, সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সুবিধাবাদী নেতা সুনীল মণ্ডল। একসময়ের ফরওয়ার্ড ব্লক করা সুনীল মণ্ডলকে যোগ্য সম্মান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। করা হয়েছিল সাংসদও। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক, গদ্দারদের চরিত্র বদল হয়না। তাই বিজেপিতে কল্কে না পেয়ে আবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু তাঁকে কোনো ভাবেই দলে নেওয়া উচিত হবে না। বুধবার থেকেই এই ভাষাতেই প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূলের জেলার নেতারা। মঙ্গলবার বর্ধমানের উল্লাস উপনগরীর তাঁর বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলে ফেরার প্রচ্ছন্ন ইচ্ছাও প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন
আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গোটা জেলা জুড়েই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ। এদিনই জামালপুরের আমড়া সহ জায়গায় জায়গায় সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের নামে পোষ্টার পড়েছে। পোষ্টারে লেখা হয়েছে – পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল কুমার মণ্ডল ভোটের আগে জৌগ্রামে এসে তৃণমূল নেত্রীকে কুশ্রী ভাষায় আক্রমণ ও তৃণমূল দলকে চোরেদের দল বলে আখ্যা দিয়েছিলেন সেই বেইমান সাংসদ এখন ভোল পাল্টে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এলাকার সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ ওই বেহায়া, গদ্দার সাংসদকে দলে ফেরাবেন না। 

২০১৯ সালে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের মাসখানেক আগেই হঠাতই তিনি তৃণমূলের সংস্রব ত্যাগ করে যোগ দেন বিজেপিতে। খোদ শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তিনি বিজেপি দলে নাম লেখান। এমনকি গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে নেতাদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা ছিল অনেকটাই। কাঁকসায় তাঁর নিজের বাড়িতেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন গুসকরার প্রাক্তন কাউন্সিলার নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় সহ বেশ কয়েকজন নেতা। 
যদিও এদিন এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ভোটের সময় তিনি জামালপুরের জৌগ্রামের একটি সভা থেকে যেভাবে মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন তাতে জামালপুর এলাকার এই ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে কাকে দলে নেওয়া হবে বা হবে না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাই এব্যাপারে তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ বাইরে প্রকাশ করা ঠিক নয়। যদিও এদিনই তৃণমূলের এক জেলা নেতা জানিয়েছেন, এখন সুনীলবাবুর সাংসদ পদ ছাড়ার জন্য স্পীকারের কাছে দলের পক্ষ থেকে আবেদন করার পরই টনক নড়েছে তার। লালবাতি হারানোর ভয়ে এখন তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু তাকে নিলে দলেরই ক্ষতি হবে বেশি। কারণ তিনি কোনোদিনই দলের নেতা , কর্মীদের সম্মান দেননি।

আরো পড়ুন