গলসিতে দামোদরের জল কমতেই ফের শুরু বালি চুরি, রাতের অন্ধকারে চলছে পাচার, নির্বিকার প্রশাসন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমান কমিয়ে দেওয়ায় গলসি এলাকার দামোদর নদের জলস্তর কিছুটা কমেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফের নদী থেকে বালি চুরি করে পাচার শুরু করে দিয়েছে এক শ্রেনীর বালি মাফিয়ারা। গোহগ্রাম বাবু পাড়ার ঢাল সংলগ্ন টেনি যাদবের ঢাল নামে পরিচিত ওই ঢাল দিয়ে নদীর চর থেকে ট্রাক্টারে করে বালি চুরি করে পাচার চলছে অবাধে। দিনরাত নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি তুলে ট্রাক্টরের মাধ্যমে গোপডাল, বাঁশতলা সহ একাধিক জায়গায় মজুদ করার পর সেই বালি সন্ধ্যার পর রাতের অন্ধকারে বিনা চালানে প্রতিদিন পাচার করে চলেছে স্থানীয় কিছু বালি মাফিয়া বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত গোহোগ্রাম এলাকায় এই মুহূর্তে কোনো বৈধ বালি খাদ নেই বলেই ভূমি রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় এলাকাবাসীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এই বেআইনি কারবারের পিছনে স্থানীয় এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক সিভিক ভলেন্টিয়ার সরাসরি যুক্ত রয়েছে। ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী সব কিছু দেখেও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। তাদের অনেকের আশঙ্কা, খোদ শাসক দলের লোক ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা যেখানে এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত আছে সেখানে পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের নিশ্চিত যোগসাজস থাকতে পারে! নাহলে কিভাবে এই ভরা বর্ষার মরশুমে নদী থেকে বালি চুরি করে মজুদ ও পাচার করতে পারে কেউ? 

স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, দিনের বেলায় গলসির রাস্তায় সচরাচর বালির গাড়ির দেখা পাওয়া যায় না। কিন্তু রাত বাড়লেই গলসি চৌমাথা দিয়ে একের পর এক বালির গাড়ি অনায়াসে বেরিয়ে যায়। তাদের অনেকের অভিযোগ, যদি বৈধ ভাবেই বালির কারবার চলে তাহলে দিনের বেলায় গাড়ি চলাচলের অসুবিধা কোথায়! নাকি রাতের অন্ধকারে অবৈধ কারবারিদের সঙ্গে গোপন লেনদেনের সুবিধা হবে বলেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে! তবে দীর্ঘদিন ধরেই গহোগ্রামের গোপডাল বাঁশতলা এলাকার দামোদর নদ থেকে এই বালি চুরির বেআইনি কারবার চলে আসছে বলেই অভিযোগ করেছেন খোদ স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কানন মাঝি।

কানন মাঝি বলেন, ‘এর আগেও পুলিশ ও প্রশাসন কে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। সংবাদ মাধ্যমেও এই এলাকার বালি চুরির খবর প্রকাশিত হয়েছে। খোদ সাংসদ এই অবৈধ কারবারের রাশ টানতে পুলিশের আধিকারিক কে ফোন করে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু কয়েকদিন অতি বর্ষার কারণে বন্ধ থাকার পর নদীর জল কিছুটা কমতেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বালির অসাধু কারবারিরা। অবিলম্বে পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত।’

আরো পড়ুন