ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসী: আবার গলসী এলাকা থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। কিছুদিন আগেই গলসীর ভুঁড়ি অঞ্চল থেকে একইভাবে ব্যাগভর্তি তাজা বোমা উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার সকালে উচ্চগ্রামের রাস্তার পাশে একটি ইটভাটা থেকে উদ্ধার হল বেশকিছু তাজা বোমা। বোমাগুলি একটি প্লাস্টিকের জারের মধ্যে রাখা ছিল। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে গলসী থানার পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, এই ভাটার মাটির ঢিবির পাশে মাঠের ধারে শ্রমিকদের ঘর আছে। ঘরে শ্রমিক না থাকায় বেশিরভাগ ঘরগুলির দরজা ইট দিয়ে বন্ধ ছিল। সেই ঘরের ভিতর একটি প্লাস্টিকের জারে মজুত ছিল ওই বোমা। মঙ্গলবার রাতে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে গলসী থানার পুলিশ এসে এলাকা ঘিরে রাখে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন ছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৫ জুন গলসী ১ নং ব্লকের উচ্চগ্রামে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলে মারামারির ঘটনা ঘটে। যেখানে দুই গোষ্ঠীর সাত জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই ৮ জুন রাতে ইট ভাটায় বোমার খবরে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। খবর পেয়ে এদিন বেলা এগারোটার সময় ঘটনাস্থলে আসে সিআইডি বোম ডিস্পোজাল টিম। তারপরই প্লাস্টিকের জারে রাখা ওই বোমা উদ্ধার করে বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ইট ভাটার ভিতরে কিভাবে এলো বোমা তার তদন্ত শুরু করছে গলসি থানার পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ইটভাটা থেকে একটি জারে রাখা ৯টি তাজা বোমা উদ্ধার করেছে। সেগুলি নিষ্ক্রিয়ও করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপান উতোরও। বিজেপির সদর জেলা কমিটির সহ সভাপতি রমন শর্মা জানিয়েছেন, গলসীর উচ্চগ্রামে পঞ্চায়েত দখল করার জন্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কাটমানি আর তোলাবাজির লড়াই চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে তাঁরা বারবার অভিযোগ করেছেন প্রশাসনের কাছে।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূল কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে দাবী করেছেন তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস। তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূলের মধ্যে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি জানিয়েছেন, ভোটের আগে থেকেই উচ্চগ্রাম এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ তৈরীর চেষ্টা করছে বিজেপি। এলাকায় সন্ত্রাস ও দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এই বোমা বিজেপিই মজুদ রেখেছিল বলে তিনি দাবী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।