ফের বর্ধমানে জাতীয় সড়কে লাস্যময়ীদের টোপ দিয়ে ছিনতাই বাড়ছে, তদন্তে জেলা পুলিশ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ফের রাতের অন্ধকারে লাস্যময়ীদের শরীরী আকর্ষণের ফাঁদে জড়িয়ে সর্বশান্ত হতে শুরু করেছেন জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পণ্যবাহী দূরপাল্লার গাড়ির চালক থেকে খালাসীরা। লজ্জায় অথবা ভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই সমস্ত ব্যক্তিরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে সবকিছু খুইয়েও কোনো অভিযোগ জানাচ্ছে না। ফলে কার্যত পুলিশ প্রশাসন এই বিষয়ে একপ্রকার অন্ধকারেই। 

বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, দুর্গাপুর থেকে কলকাতার দিকে যাওয়ার পথে এন এইচ-২ এর উপর বর্ধমান থানার অধীনে চান্ডুল, মাটিয়াল থেকে নবাবহাট এলাকার মধ্যে রাত দশটার পর থেকে ১২টার মধ্যে মহিলাদের প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিছু দুষ্কৃতী চালক এবং খালাসীদের মারধোর করে টাকা পয়সা ছিনতাই করছে। কখনও কখনও এই দলে থাকছেন ৪-৫জন মহিলাও। তবে আদপেই তাঁরা মহিলা নাকি মহিলা সাজিয়ে পুরুষেরা এই কাজ করছে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। 
উল্লেখ্য, এই এলাকার কয়েকটি লাইন হোটেলে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষও গত কয়েকদিন যাবৎ এই ধরণের ঘটনা লক্ষ্য করেছেন বলে জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই করোনার কারণে টানা বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য নিয়ে আসা গাড়ির চালক বা খালাসীরা এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত। বর্ধমান জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকমাস আগে এই এলাকায় একই ধরণের অপরাধ সংগঠিতকারী একটি দলকে চিহ্নিত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর বন্ধ হয়ে যায় এই অপরাধ প্রবণতা। স্বাভাবিক হয় জাতীয় সড়কের উপর গাড়ির যাতায়াত। কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ ফের একটি দুস্কৃতিদের দল রাস্তায় মহিলাদের টোপ দিয়ে গাড়ির চালক, খালাসীদের কাছ থেকে লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শীঘ্রই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।

আরো পড়ুন