ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, মেমারি: দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে নাবালিকা কে বারবার ধর্ষণ করার অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ এক যুবক কে গ্রেপ্তার করলো। ধৃতের নাম উত্তম সরকার (৩৪)। নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে মেমারি থানার পুলিশ অভিযুক্ত উত্তম সরকারকে গ্রেপ্তার করে। পক্সো আইনে মামলা রুজু করে ধৃত উত্তম সরকারকে মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মেমারির মহেশডাঙ্গা ক্যাম্প দক্ষিণপাড় নিবাসী উত্তম সরকার ১২বছর ৭ মাস বয়সের এক বালিকাকে তার আর্থিক দূরাবস্থার সুযোগ নিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। ২ বছর আগে নাবালিকার মা মারা যায়। পরিবারে দিনমজুর বাবা ও একটি ছোট ভাই। গত অক্টোবর মাসে ওই বালিকার বাবার পা ভেঙে যায়। পড়াশুনোর সাথে সাথে সংসার চালানোর দায়ভার পরে নাবালিকার উপর। পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয়, রুজিরোজগার কিছুই ছিল না। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় উত্তম সরকারের নাবালিকার বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া, ওষুধের খরচ সহ বিভিন্ন ভাবে নাবালিকার বাবাকে সাহায্য করত এই সময় অভিযুক্ত উত্তম।
কিন্তু উত্তম সরকার নাবালিকার পরিবারের দারিদ্রতা ও অসহায়তার সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে বাড়িতে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এমনকি বিষয়টি কাউকে জানলে ফল ভালো হবে না বলে নাবালিকা ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখতো। সেইসময় অসহায় হয়ে চুপ করে যায় নাবালিকা। কিন্তু প্রতিবেশীরা ব্যপারটি জানতে পেরে সোমবার রাতে উত্তম সরকারকে এলাকায় ব্যপক মারধোর করে। মেমারি থানায় গণপ্রহারের ঘটনার খবর গেলে পুলিশ এসে উত্তম সরকারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ও প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর থানায় নিয়ে আসে। নাবালিকার বাবা সোমবার রাতেই মেমারি থানায় ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ তদন্তের পর উত্তম সরকারকে পক্সো আইনে গ্রেপ্তার করে।