ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সামলেও সামাজিকতা ও একজন প্রকৃত সমাজসেবক হিসেবে এলাকার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন ফজিলা বেগম। পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত প্রধান ফজিলা বেগম এখন তাই কেবল গ্রামের প্রধান নন, একটি মানবিক মুখও। সারাবছর এলাকার দুঃস্থ, অসহায়, তফসিলি মানুষদের জন্য সুযোগ পেলেই নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ফজিলা বেগম। খোদ প্রধান বলেন, ’ জনপ্রতিনিধি মানে শুধু সরকারি ভাতা নেওয়া নয়, মানুষের জন্য মানুষের পাশে থেকে কাজ করার আনন্দই আলাদা। আর সেটাই বড় কথা। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সেই কথাই বলেন, যাতে মানুষের পাশে থেকে তাদের সুবিধা, অসুবিধা সারা বছর লক্ষ্য রাখতে পারি আমরা।’
মঙ্গলবার লোয়া রামগোপালপুর পঞ্চায়েত সংলগ্ন বাউড়ি পাড়া এলাকার প্রায় ১০০ দুঃস্থ পরিবারের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দিলেন প্রধান ফজিলা বেগম। স্বাভাবিকভাবেই ঠাণ্ডার কনকনানি উত্তরোত্তর বাড়ার এই সময়ে কচিকাঁচাদের জন্য শীতের পোশাক পেয়ে বেজায় খুশি তাদের বাবা, মায়েরাও। পঞ্চায়েত প্রধানের এই মানবিক উদ্যোগের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এলাকার মানুষ।
প্রসঙ্গত ২০১৩ থেকে ২০১৮ এই পঞ্চায়েতেরই প্রধান ছিলেন ফজিলা বেগম। ২০১৮ থেকে ২০২৩ গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০২৩ থেকে আবার তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন, এলাকার উন্নয়ন সহ সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন পঞ্চায়েত প্রধান ফজিলা। মানুষের সুখে দুঃখে সবসময় পাওয়া যায় প্রধান ম্যাডামকে। দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, চিকিৎসার জন্য সাহায্য ইত্যাদি নানা বিষয়ে সবসময় প্রধান মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন।
সূত্রের খবর, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ থাকাকালিন ফজিলা বেগম সরকারি ভাতা বাবদ অর্থ সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে দান করে দিয়েছিলেন। শিশুদের প্রতি ফজিলা বেগমের টান চিরদিনের, তাই এখনও পঞ্চায়েতের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তফসিলি বা আদিবাসী শিশুদের রাস্তায় দেখলে তাদের হাতে কখনও চকলেট কিংবা কখনও কেক, মিষ্টি তুলে দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন। এলাকার মানুষ অনেকেই জানিয়েছেন, রাজনীতির রং গায়ে না লাগিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের দায়িত্ব, কর্ত্তব্য পালনের জন্য ইতিমধ্যেই ফজিলা বেগম এলাকায় বেশ জনপ্রিয় সমাজসেবীও হয়ে উঠেছেন সকলে কাছে।