ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেবার কাজ। দীর্ঘদিন ধরে আলাপ আলোচনার পর সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের কোভিড যোদ্ধা বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আর তারপরেই পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজ্য সরকার স্বীকৃত এ্যাক্রিডিয়েশন কার্ড হোল্ডার সাংবাদিকদের প্রথম দফায় করোনার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যদিও ইতিমধ্যেই অন্যান্য জেলায় কর্তব্যরত সমস্ত সাংবাদিকদেরই করোনার ভ্যাকসিন দেবার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেরীতে হলেও সোমবার দেওয়া হবে জেলার ৫৫জন সাংবাদিককে। একইসঙ্গে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৮০০ জন হকারকে এবং ৮০০ জন পরিবহণ কর্মীকেও।
পূর্ব বর্ধমানে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশাসনের চরম দ্বিচারিতা, সরকারী ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ওষুধের দোকানদাররা
বিজ্ঞাপন
যদিও জেলার রাজ্য সরকার স্বীকৃত নয় অথচ কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ভ্যাকসিন না দেবার বিষয় নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ জেলার সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের একাংশ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী,মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্যপাল জেলায় সভা করতে এলে সেই অনুষ্ঠানের প্রচার যাতে ঠিকঠাক হয় তারজন্য তখন রাজ্য সরকার স্বীকৃত এ্যাক্রিডিয়েশন কার্ড হোল্ডার সাংবাদিক ছাড়াও জেলার প্রায় সমস্ত সাংবাদিকদের সভাস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এমনকি ভোটের কাজে, গণনার কাজে সরকারি স্বীকৃত সাংবাদিক ছাড়াও বাকিদেরকে ইলেকশন কমিশনের কার্ড দেওয়া হয়। জেলার সাংবাদিকদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রশাসন নিজেদের সুবিধার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে এই দ্বিচারিতা করছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নিয়মের বেড়া টেনে দিচ্ছে।
অন্যদিকে, সরকারীভাবে বিভিন্ন সেক্টর অনুসারে যখন ভ্যাকসিন (প্রথম ডোজ) দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সেই সময় বর্ধমান জেলা কেমিষ্ট এণ্ড ড্রাগিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের প্রশাসনিক সম্পাদক গঙ্গাধর খাণ্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমান করোনার মহামারী পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি চাপের মুখে রয়েছেন ওষুধের দোকানদাররা। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ ভিড় করছেন ওষুধের দোকানগুলিতে। তাঁদের কার করোনা আছে বা নেই তা জানার কোনো উপায় নেই।
এই অবস্থায় ওষুধের দোকানে কর্মরত কর্মীদের জীবন সংশয়পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি সময়ে সাধারণ মানুষকে ওষুধ সরবরাহ করে তাঁরা গুরু দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু আশ্চর্য্যজনকভাবেই তাঁদের সেক্টরকে সরকার কোনো গুরুত্বই দিচ্ছেন না। এমতবস্থায় ওষুধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা দোকান বন্ধ রাখার মত দাবীও তুলছেন তাঁদের জীবন বাঁচাতে। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত সরকারকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় জীবন বাঁচাতে ওষুধের দোকান যদি বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে বিপদ আরও বাড়বে।