---Advertisement---

বর্ধমান ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফিরে পেলেন ব্যবসায়ী

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে কাজের জায়গায় যাচ্ছিলেন মানস বাবু। অসতর্ক অবস্থায় রাস্তার কোথাও প্যান্টের পকেট থেকে গলে পরে যায় মোবাইল ফোনটি। যখন হুঁশ হয় যে পকেটে ফোন নেই, তখন আর কিছু করার ছিলনা। চারদিক তন্নতন্ন করে খুঁজেও ফোন না পেয়ে অগত্যা পুলিশ কে জানানো ছাড়া আর তো কিছু করারও ছিলনা। কিন্তু মানস বাবুর জন্য আজকের দিনটা খারাপ ছিলনা!

বিজ্ঞাপন

ফোন হারিয়ে যাওয়ায় যখন দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য অবস্থা, বহু গুরুত্বপূর্ণ নম্বর থেকে, ডকুমেন্ট হারিয়ে ফেলার ভয় মানস বাবুর কপাল ঘামে ভিজতে শুরু করেছে, ঠিক সেই সময় নিজের ফোনেই অন্যের ফোন থেকে কল করে দেখার চেষ্টা করেন তিনি। আর এরপরই ওপর প্রান্তের কথা শুনে কার্যত ধরে প্রান ফিরে পান তিনি। ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে জানানো হলো, ’আপনার ফোন আমাদের কাছে রয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ও কাগজপত্র সহ এসে আপনার ফোন নিয়ে যাবেন।’ দেরি না করে বড় নীলপুর নিবাসী মানস ভট্টাচার্য, পেশায় ডেকরেটর ব্যবসায়ী ছুটলেন কার্জন গেটের ট্রাফিক অফিসের উদ্দেশ্যে।

সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন বিরহাটা সাব ট্রাফিক গার্ডের ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী, সঙ্গে আরো তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। মানস বাবু পৌঁছতেই ট্রাফিক ওসি চিন্ময় বাবু প্রথমেই তার নাম জানতে চাইলেন। পরে কিভাবে, কোথায় ফোন হারিয়েছিল সেই সম্মন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ফোনটির মালিকানা সম্পর্কিত কাগজ দেখার পর যথারীতি মানস বাবুর হাতে তার মোবাইল ফোন টি ফিরিয়ে দেন ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী। মানস বাবু তার ফোন ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসার সহ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। ভুয়সী প্রশংসা করেন ট্রাফিক পুলিশের।

তিনি বলেন, ’ রাস্তায় পরে গিয়ে ফোন হারিয়ে যাওয়ার পরেও এইভাবে অক্ষত অবস্থায় ফোন ফিরে পাবো, কল্পনাতেই আসেনি। তবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজের বাইরেও যে ট্রাফিক পুলিশ এইভাবে সামাজিক, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সজাগ রয়েছে, এটা এককথায় শহরের সাধারণ মানুষ কে সাহস যোগাবে। ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে আমরাও যদি আরো সচেতন হতে পারি তাহলে সামগ্রিক ব্যবস্থার আরো উন্নতি হবে।’

See also  ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠল একাধিক সংগঠন

ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জী বলেন, ’ বিরহাটা অফিস থেকে কার্জন গেটের দিকে আসার সময় হঠাৎ মিউনিসিপ্যাল বয়েজ স্কুলের সামনে রাস্তার ওপর একটি মোবাইল ফোন পড়ে থাকতে দেখে তুলে নিয়ে আসি। ফোনটি চালু অবস্থায় ছিল। বুঝতেই পারছিলাম কারুর অসতর্কতায় ফোনটা রাস্তায় পরে গিয়ে থাকতে পারে। পরে ওই ফোনে অন্য নম্বর থেকে কল আসলে সমস্ত বিষয়টি বুঝতে পারা যায়। এরপর ফোনের মালিক কে ডেকে পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা ফোনটি শহরের বড় নীলপুরের বাসিন্দা, মানস ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দি।’

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---