---Advertisement---

গুজরাটে শুরু হল ‘ভারতীয় কিষাণ সংঘ’-এর ১৪তম অখিল ভারতীয় অধিবেশন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, দান্তিওয়ারা,গুজরাট: শুক্রবার থেকে শুরু হলো তিনদিন ব্যাপী  ভারতীয় কিষাণ সংঘের ১৪তম অখিল ভারতীয় অধিবেশন। এই অধিবেশন হচ্ছে গুজরাট রাজ্যের ‘সর্দার কৃষিনগর দান্তিওয়ারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ। সারা ভারতের ৩৫ টি প্রান্ত থেকে প্রায় ৩০০০ কার্যকর্তা এই অধিবেশনে যোগদান করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫৫ জন কার্যকর্তা এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ‘গো- কৃষি – বাণিজ্য’। এই অধিবেশনে যোগদান করেছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের অখিল ভারতীয় সভাপতি বদ্রী নারায়ণ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহিনী মোহন মিশ্র, সংগঠন মন্ত্রী দীনেশ কুলকার্নি, সম্পর্ক প্রমুখ রামলাল, নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ ড. সুমন বৈরী, SDKV-এর ভাইস চ্যান্সেলর ড. রবীন্দ্র চৌহান ও অন্যান্য আধিকারিক বৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

এ দিন শুরুতেই ভারতীয় কিষাণ সংঘের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তারপর ভারত মাতা, ভগবান বলরাম ও দত্তপন্থ বাপুরাও ঠেংরি’র প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন উপস্থিত আধিকারিক বৃন্দ। কুলকার্নি বলেন, ’সবুজ বিপ্লবের কারণে আমরা খাদ্যে সমৃদ্ধ হয়েছি কিন্তু অধিক কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করার কারণে কৃষিজমি নষ্ট হবার পাশাপাশি বিষযুক্ত ফসল খেয়ে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ছি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা স্বাবলম্বী হবো ঠিকই, কিন্তু আমাদের চাষাবাদের সাথে যুক্ত যারা থাকেন তাদের জীবনের সার্বিক ভারসাম্য যেন বজায় থাকে।’ মোহিনী বলেন, ’পশুপালনের সাথে মিলিয়ে চাষাবাদ করতে হবে। সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষাবাদ করতে হবে। গো-আধারিত চাষাবাদ এবং তার বাণিজ্যের মাধ্যমে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ হবে। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ফিরিয়ে আনতে হবে যাতে কৃষিকে বিষমুক্ত করা যায়।’

উপাধ্যক্ষ সুমন বলেন, ’ভারত সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সেখানে কৃষি ও কৃষকের ভূমিকা অপরিসীম। সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প নিয়েছে। সেই প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত করতে ভারত কিষাণ সংঘকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।’ এই বৈঠক উপস্থিত আছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি অনিমেষ পাহাড়ি। তিনি বলেন, ’তিন দিনের এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আমরা অনেক কিছুই শিখব, বিশেষ করে জৈব পদ্ধতি চাষাবাদ। সেগুলো আমরা আমাদের রাজ্যে প্রয়োগ করব। পাশাপাশি কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের চাষ করার জন্য অনুরোধ করব।’ এই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত আছেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী সদস্য কল্যাণ কুমার মন্ডল ও পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার ও অন্যান্য অনেক কার্যকর্তাবৃন্দ।

See also  বর্ধমানে জাতীয় সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত যুবক,উত্তেজনা
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---