ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: বালির গাড়ি থেকে টোল আদায় করার জন্য ব্যস্ত রাস্তার পাশে বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল টোল অফিস। অভিযোগ, সেই অফিসের সামনে বালির গাড়ি দাঁড়ানোর জন্য দেওয়া থাকতো ব্যারিকেড। রবিবার সেই টোলের কাছেই একটি গাড়িকে পাস দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধান খেতে উল্টে গেলো যাত্রীবাহী বাস। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা না ঘটলেও বাসের একাধিক যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার অন্তর্গত শিল্লা থেকে পারাজ যাওয়ার পথে লোয়ামোড় ও রাইপুর মোড়ের মাঝে। যাত্রীবাহী বাসটি শিল্ল্যা থেকে বর্ধমান আসছিলো। দুর্ঘটনার পরই গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পাশাপাশি স্থানীয়দের বিক্ষোভ সামাল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। আশপাশের গ্রামের মানুষজন ছুটে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। এই ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন টোল আদায়কারী অস্থায়ী অফিস নিয়ে। তাদের অভিযোগ, ওই টোলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, দামোদর নদ থেকে বালি লোড করে আসা গাড়ি গুলো থেকে টোল আদায়ের জন্য নদী বাঁধের কাছেই এই টোল অফিসটি ছিল দীর্ঘদিন ধরে।কিন্তু কয়েকবছর আগে বাঁধের কাছ থেকে অফিসটি সরিয়ে নিয়ে এসে রাইপুর ব্রিজের আগে করা হয়। ফলে একদিকে বেআইনি ওয়েব্রিজের দাপট, অন্যদিকে টোল অফিসের সামনে বালির গাড়ির ভিড়ে সাধারণ মানুষের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কার্যত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
এদিন দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী দাবি তুলেছেন, টোল অফিসটি অবিলম্বে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। তাদের আরো অভিযোগ, প্রতিদিন প্রায় তিনশো থেকে চারশো বালির গাড়ি এই টোল অফিসের সামনে এসে দাঁড়ায়। ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৬চাকা ও ১৬ চাকা গাড়ি থেকে টোল আদায় করা হয়। ট্রাক্টর থেকে ১০০ টাকা। ফলে রাস্তায় প্রচুর বালি পড়ে থাকে। এরই পাশাপাশি বালির গাড়ির ওজন মাপার জন্য একাধিক ওয়েব্রিজ রয়েছে এই এলাকায়। সব মিলিয়ে রাস্তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনা ঘটছে এই রাস্তায়। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই টোল ও বেআইনি কাঁটা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের জীবন সুনিশ্চিত করতে হবে।