---Advertisement---

সরকার অনুমোদিত বালি উত্তোলনের নির্দিষ্ট জায়গায় মাফিয়ারাজ, মঙ্গলকোটে বিপাকে বৈধ ইজারাদার, নির্বিকার পুলিশ ও প্রশাসন

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, মঙ্গলকোট: সরকারি নিয়মে নদীর নির্দিষ্ট জায়গা থেকে বালি উত্তোলনের জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে অনুমোদন lOI (letter of intent) পাওয়ার পরও গায়ের জোড়ে এবং বেআইনিভাবে কিছু দুষ্কৃতি সরকার নির্ধারিত সেই জায়গা থেকেই বালি চুরি করে পাচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  এমনকি বেআইনি ভাবে নদীর মধ্যে অন্যের প্লটের ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে বালির গাড়ি যাতায়াতের জন্য, বলেও অভিযোগ। স্থানীয় এলাকাবাসীদের একাংশের সন্দেহ, বালি মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ ও সেটিং থাকার ফলেই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত। 

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ, এরফলে একদিকে যেমন সরকারি রাজস্ব লুট হচ্ছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লোকসানের মুখে পরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বৈধ ইজারাদারের। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই শেখ হার্ডওয়ার নামে একটি সংস্থার পক্ষে শেখ আব্বাসউদ্দীন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর, জেলা পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসক কাটোয়া, মঙ্গলকোট ব্লক ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ও মঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ কে লিখিতভাবে দরখাস্ত জমা করেছেন। 

প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের WBMDTCL (West Bengal Mineral Development and Trading Corporation Limited) বালি সংক্রান্ত বিষয়ে Auction করে। উক্ত টেন্ডার Auction (Id No-2024 WB_4233) মঙ্গলকোট ব্লকের মালিয়ারা এবং কেতুগ্রাম ব্লকের চাকদহ মৌজায় বালি উত্তোলনের জন্য সর্বোচ্চ দরদাতা (Higest Bidder) হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে শেখ হার্ডওয়ার। সেখ হার্ডওয়ারের পক্ষে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে সংস্থার নামে Letter of Intent(LOI) ইস্যু হয়েছে। বর্তমানে বালি উত্তোলনের জন্য সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় প্রসেসিংও চলছে।

শেখ আব্বাসউদ্দীন লিখিত অভিযোগে প্রশাসন কে জানিয়েছেন, ” সরকার অনুমোদিত নদীর নির্দিষ্ট আমাদের এলাকা থেকে আনুমানিক ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে মঙ্গলকোট ব্লকের কেউসা মৌজায় বালি উত্তোলনের জন্য একটি ঘাট রয়েছে, মুন্সি মহ: হাসানুজ্জামান এর নামে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেই ব্যক্তি তার বৈধ এলাকা ছাড়াও আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ চালাচ্ছে। আর এই বেআইনি কাজে মদত দিচ্ছে মনিরুল মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। বর্তমানে তার বাড়ি বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত বাসাপাড়া এলাকায়।

See also  ধারালো অস্ত্রের কোপে জামাইবাবুর হাতে গুরুতর জখম শ্যালক, গ্রেপ্তার জামাইবাবু

এই মনিরুল মন্ডলের মদেতে কিছু দুষ্কৃতি যেমন, সাধন ব্যানার্জি, বাড়ি- কুমারপুর, থানা- মঙ্গলকোট, দিনু শেখ বাড়ি লক্ষ্মীপুর, থানা মঙ্গলকোট, সাইফুল শেখ বাড়ি লক্ষ্মীপুর, থানা মঙ্গলকোট, পরিমল লোহার ওরফে শুকলাল, বাড়ি শ্যামবাজার, থানা মঙ্গলকোট ইত্যাদি ব্যক্তির সাহায্যে আমাদের বৈধ প্লটের উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করছে। এতে অবৈধ বালি উত্তোলন তো হবেই, সঙ্গে বিপুল পরিমাণ সরকারি রাজস্ব লুট হবে। একইসঙ্গে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হব।”

আব্বাসউদ্দীন বাবু অভিযোগ করেছেন, “এর আগেও ওই অঞ্চলে অবৈধ বালি চুরি রোধের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এই মর্মে মঙ্গলকোট বিএলআরও এবং মঙ্গলকোট থানাকে অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক (ADM & DLLRO) একটি লেটার ইস্যু করেন, যাহার মেমো নাম্বার PBD-54015 (99)/ 64/ 2024/MM/555 dated 28/04/2025। শেখ আব্বাসউদ্দীনের দাবি, মুন্সি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান তার বৈধ জায়গায় বালি উত্তোলন করুক। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে তার আবেদন, “বৈধ অনুমোদিত রাস্তা দিয়ে বালি পরিবহন করা হোক। এই মর্মে সরকার নির্দেশিত নির্দিষ্ট বৈধ বালি উত্তোলনের জায়গা এবং বৈধ অনুমোদিত রাস্তা চিহ্নিতকরণ হয় সেই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অবৈধভাবে রাস্তা যাতে তৈরি না হয় এবং দুষ্কৃতীরা যাতে বালি অবৈধ ভাবে উত্তোলন করতে না পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---