বর্ধমান শহরে মমতার পঞ্চম দফার শেষ রোড শো কে ঘিরে মানুষের ঢল

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রবিবার বিকালে পঞ্চম দফার ভোটে পূর্ব বর্ধমান জেলায় শেষ প্রচার করে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন দুপুর ১টায় তাঁর বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন থেকে জিটি রোড বরাবর ষ্টেশন পর্যন্ত রোড শো করার কথা ছিল। দুপুর ১টার পরিবর্তে মমতা এলেন দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে। পুলিশ লাইন থেকে শুরু হল তাঁর রোড শো। হাজির ছিলেন জেলার ৮টি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীরা। হাজির ছিলেন হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয়ে ছিল প্রচুর পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

কার্যত এদিন দুপুর ১টা থেকেই রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষ তাঁকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। তাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ১টা থেকেই বর্ধমান শহরের হার্ট লাইন জিটিরোডে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সাধারণ মানুষকে রীতিমত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। পুলিশ লাইন থেকে বর্ধমান ষ্টেশন পর্যন্ত রাস্তার দুধারে সমস্ত বাড়ির ছাদে ছাদে মোতায়েন করা হয় সিভিক ভলেণ্টিয়ার। গোটা রাস্তা জুড়ে লাগানো হয়েছিল অসংখ্য মাইক। দুপুর ১টা থেকেই সেই মাইকে একই গান বেজেছে – বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। দুপুর প্রায় ৩টে ৪০ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী হুইল চেয়ার বসে রোড শো শুরু করেন। সাড়ে ৪টের মধ্যে তিনি পৌঁছে যান স্পন্দন কমপ্লেক্সে। শীতলকুচির ঘটনার প্রতিবাদে এদিন তাঁর হাতে ধরা ছিল জ্বলন্ত মোমবাতি। এদিন তৃণমূলের এই সেন্ট্রাল মিছিলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সমান আবেগ উচ্ছ্বাস থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সেই জনপ্রিয়তা কি কমছে – এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেল খোদ তৃণমূলের অন্দরেই।

 কারণ এর আগে যতগুলি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে মিছিল হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার দুধারে মানুষ দাঁড়িয়ে থেকেছেন। অপেক্ষা করেছেন। এদিন তার কোথাও কোথাও অভাব দেখা গেছে। যদিও কেউ কেউ বলেছেন দুপুরে কড়া রোদ এবং বিকাল গড়াতে না গড়াতেই আকাশে কালবৈশাখী মেঘের আনাগোনায় ঘরমুখো হয়ে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। নয়নয় করেও প্রতিটি বিধানসভা এলাকাতেই রয়েছে প্রায় ২ লক্ষের কাছাকাছি ভোটার। কিন্তু এদিন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় মিছিলে কেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভাব – তা নিয়ে তৃণমূল দলেই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। এদিন এই মিছিলে বেশ কয়েকজন ব্যারিকেড টপকে ঢুকে মমতাকে ফুলও দিতে যান। রাস্তার পাশ থেকেও ছড়ানো হয় ফুলের পাঁপড়িও।

আরো পড়ুন