বর্ধমান মেডিক্যাল থেকে গ্রেপ্তার এক প্রতারক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: জন্ম, মৃত্যু ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বের করে দেওয়ার নামে রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তির নাম শাহজাহান শেখ। তার বাড়ি মঙ্গলকোট। বুধবার হাসপাতালের ভিতর এক মহিলার সঙ্গে টাকার রফা নিয়ে বচসা চলাকালীন ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। পরে বর্ধমান থানার পুলিশ ধৃত শাহজাহান শেখ কে থানায় নিয়ে আসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা জানান, সরিফা বিবি নামে এক মহিলার সঙ্গে শাহজাহান শেখ নামে এই ব্যক্তির যোগাযোগ হয়। মহিলার এক পরিজনের মৃত্যু সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য তিনি এই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু অভিযোগ এরজন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি মহিলার কাছে কিছু টাকাও নিয়েছিলেন। কিন্তু যে পরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল সেই পরিমাণ টাকা ফেরত না দেওয়ায়, বুধবার সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তখনই হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা সেখানে গিয়ে শাজাহানকে আটক করে নিয়ে আসে। এরপরই আসল ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনার পর আরও দুজন ব্যক্তি এসে ধৃত শাহজাহান শেখের নামে সরাসরি টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র দেওয়ার কথা জানান।

মঙ্গলকোটের মাধপুরের বাসিন্দা সুফিয়া রহমান বলেন, তার একটি প্রতিবন্ধী শংসাপত্র করে দেওয়ার জন্য তার কাছে ৫০০ টাকা নিয়েছিলেন শাহজাহান শেখ। তিনি এখনও সেই শংসাপত্র হাতে পাননি। এদিন ঘটনা সামনে আসার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমিরুল শেখ নামে অপর এক ব্যক্তি জন্ম শংসাপত্রের জন্য এই ব্যক্তির কাছে হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকায় পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা বর্ধমান থানায় খবর দেন। বর্ধমান থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

হসপিটাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘ বুধবার সকালে পুলিশ ক্যাম্পের কর্মীরা এক ব্যক্তিকে আটক করে বর্ধমান থানায় পাঠিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এখনও কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে মেডিক্যাল বোর্ডের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে ওই ব্যক্তি একাধিক মানুষের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে প্রতারণা করছে বলে শুনেছি। আমিও খোঁজ খবর নিচ্ছি। পুলিশ কে ঘটনার বিষয় খতিয়ে দেখে যদি সত্যতা প্রমাণ হয় সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানিয়েছি।’ যদিও অভিযুক্ত শাজাহান শেখের দাবি, তিনি কোন দালাল নন। অনেকে তাকে টাকা দিত সেই টাকার বিনিময়ে তিনি লাইন দিয়ে সরকারিভাবেই জন্ম, মৃত্যু শংসাপত্র বের করে দিতেন। কিন্তু আজকের একটি ঘটনায় অশান্তি হওয়ায় তিনি ফেঁসে গেলেন। তার কোন দোষ নেই।

আরো পড়ুন