ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, গলসি: গলসির মনোহর সুজাপুর ও পোতনা গ্রামের মাঝামাঝি একটি জায়গা থেকে ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করলো পুলিশ। শুক্রবার সকালে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। জানা গেছে, পোতনা মোড়ের একটু দুরেই রণডিহা ক্যানাল বাঁধে খড় চাপা একটি নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ঘি এর জারকে ঘিরে রহস্যের দানা বাঁধে। এরপরই খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াড কে। তারা এসে নীল রংয়ের ওই প্লাস্টিকের ঘি এর জার থেকে ৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। এরপর সেগুলিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করে সিআইডি বোম ডিস্পোজাল স্কোয়াডের টিম।
প্রসঙ্গত গত বুধবার সকালে গলসি থানার বেতালবন গ্রামের কাছে ঝোঁপের ভিতরে একটি নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ঘি এর জার দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেটিকে নিয়ে রনডিহা ক্যানালের দিকে চলে যায়। সেখানে অবশ্য বোমা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল জারটি তে কাদা ভর্তি ছিল। আর সেই ঘটনার ৭২ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই একই ধরনের নীল রংয়ের প্লাস্টিকের ঘি এর জারে বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে এলাকায় আতংকের পাশাপাশি রহস্য দানা বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ অক্টোবর মনোহর সুজাপুর গ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে মারধরের ঘটনা ঘটে। তাছাড়াও গত ২ জানুয়ারী মনোহর সুজাপুরের পাশের গ্রাম জাগুলিপাড়াতেও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে গ্রামছাড়া হয়েছিল বহু মানুষ। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রায় ৫২জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল গ্রামগুলি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি মেটানোর নির্দেশ এসেছিল জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। মনোহর সুজাপুর গ্রামের বিষয়টি অনেকটাই মিটমাট হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এদিকে সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের গ্রামের কিছুটা দূরেই আবার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে গ্রামজুড়ে। ব্লক সভাপতি জনার্দন চ্যাটার্জী বলেন, ‘ এই মুহূর্তে এলাকায় কোন অশান্তি নেই। সকলকে নিয়ে বসে আলোচনা করা হয়েছে। বোমা উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ দেখছে। গোটা পরিস্থিতির দিকে আমরা ও পুলিশ নজর রেখেছে।’