ক্রাইম

জগদ্দলে বিপুল পরিমাণ নকল মাথার চুলের তেল আটক, পলাতক চক্রের পান্ডা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,জগদ্দল: চুল নিয়ে সমস্যা কমবেশি সকলেরই রয়েছে। কারোর অকালে চুল পড়ে যাচ্ছে তো কারোর আবার মাথায় টাক। অকাল কেশ পক্কন সেও এক বড় সমস্যা। প্রতিনিয়ত এইসমস্ত সমস্যা সহজেই সমাধানের উপায় নিয়ে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন বাজারে চালু রয়েছে। আর এই চাহিদা কেই হাতিয়ার করে এক শ্রেণীর অসাধু কারবারি রীতিমত নকল তেল তৈরির কারখানা খুলে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, নকল তেল তৈরি করে সেই তেল ভিন রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও এক বিশাল চক্র কাজ করে চলেছে। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে এবার সেই চক্রের হদিস পেলো রাজ্য পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।

জগদ্দল থানা এলাকার শ্যামনগরের সতীন সেন নগরে হানা দিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ নকল দুটি নামি কোম্পানির মাথার চুলের তেল বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,  শেখর চন্দ্র নায়েক নামে এক ব্যক্তির ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে কার্টুনে ভরে দশ হাজার বোতল নকল মাথার চুলে ব্যবহৃত তেল যাচ্ছিল ভিন রাজ্যে। বমাল সেই মাল ধরা পড়ে। মোট দশ হাজার বোতল নকল মাথার তেল দুটি নামি কোম্পানির ব্যান্ড ব্যবহার করে পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, নেহার কোকোনাট অয়েল ও বাজাজ আলমন্ড ড্রপ এই দুটি সংস্থার তেলের নাম ও ডিজাইন নকল করে এবং প্রায় একই রকম দেখতে বোতল বানিয়ে সেই তেল পাচার করছিল এই চক্র। কিন্তু মাল ধরা পড়লেও এই চক্রের মূল নায়ক শেখর চন্দ্র নায়েক পলাতক।

পুলিশ সূত্রে খবর, পলাতক শেখরের বাড়ি নৈহাটিতে। এই চক্রের বাকিদের সন্ধানে পুলিশ ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এই চক্রটি বিভিন্ন ধরনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র নকল তৈরি করে এই রাজ্য ও ভিন রাজের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হতো। এর আগেও একাধিক বার পলাতক শেখর নায়েকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হয়েছিল। কিন্তু শ্রীঘর থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এই চক্রকে ফের সক্রিয় করে তোলে এই শেখর।

পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ওই ট্রান্সপোর্ট সংস্থা ‘গুরু ডেলি সার্ভিস’ এর অফিস সিল করে দিয়েছে। ট্রান্সপোর্টে ব্যবহৃত গাড়ি গুলিও আটক করা হয়েছে। শহর শহরতলী বিভিন্ন প্রান্তে অলিতে গলিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারের নানান জিনিস এভাবেই নকল তৈরি হচ্ছে। আর সেই সমস্ত মাল চক্রের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকাতে। এই চক্রগুলোর বিরুদ্ধে এবার লাগাতার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও স্থানীয় প্রশাসন।