ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ভিতরে লহর থেকে মঙ্গলবার সকালে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ভিতরে কিভাবে মহিলার মৃতদেহ এলো তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সবমহলে। এদিন সকালে নিরাপত্তা কর্মীরাই বর্ধমান থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়
পুলিশের অনুমান মৃতদেহ টি কমপক্ষে দু থেকে তিনদিন ধরে এই স্থানে ছিল। জেলা পুলিশের ডিএসপি রাকেশ চৌধুরী বলেন,’ বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ভিতরে পরিখা থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় বছর ৩৫এর এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে এখানে এই দেহ এলো। বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। বাইরে থেকে কেউ বা কারা এই দেহ নিয়ে এসে এই জায়গায় ফেলে দিয়ে গেছে কিনা প্রভৃতি বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের ভিতরের এই পরিখাটি রাজ আমলের। এই পরিখার সঙ্গে বাইরের কোন নালা, পুকুর বা অন্য কোন জলাশয়ের কোন সংযোগ নেই। ফলে বাইরের থেকে এই জায়গায় ভেসে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে অনুমান করা হচ্ছে, নয় কোনভাবে ওই মহিলা পরিখার জলে পড়ে গেছে, নয়তো কেউ বা কারা ফেলে দিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়েই পুলিশ তদন্তে নেমেছে। বিশ্ববিদ্যালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার পাশাপাশি ভিতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করছে পুলিশ।
এদিকে এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে মহিলার নগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, ছাত্র ছাত্রীদের সুরক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় এস এফ আই এর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কালীন উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতমচন্দ্র সাহা বলেন, ‘ কিভাবে এই ধরনের একটা ঘটলো বর্ধমান থানার পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। আমরাও খোঁজ নিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, ছাত্র ছাত্রীদের সুরক্ষার প্রশ্নে কোন আপষ করা হবে না।’