কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠলো বর্ধমানের প্রতিবাদ সভায়

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন গুলি আই এন টি টি ইউ সি-র ব্যানারের নিজেদের মতো করে কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। আগামী দিনে সবকটি ইউনিয়নকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা হবে। জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটির অনুমোদনে তাদের কেন্দ্রীয়ভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। যেমন খুশি সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। দলের নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করতে হবে – রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম বিরোধী আইনের প্রতিবাদে বর্ধমানের স্টেশন এলাকায় পূর্ব বর্ধমান জেলা আই এন টি টি ইউ সি-র ডাকে একটি প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়ে এমনি কথা বললেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজ্ঞাপন

এদিন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈয়দ মহম্মদ সেলিম, মন্ত্রী মলয় ঘটক, স্বপন দেবনাথ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চাটপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলি গুপ্ত তা সহ অন্যান্য বিধায়করা। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজ্য সভাপতি বলেন,” শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা কাজের দাবি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রমিক কোড করে শ্রমিকদের সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রেল হকার, মিল শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রমিকদের সংগঠনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। যার মধ্যে ৫ লক্ষ এর কাছাকাছি শ্রমিক এই আওতায় এসেছেন। বাকি শ্রমিকদেরও এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে। রেল হকারদের আলাদা করে ইউনিয়ন তৈরি করা হবে।

মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন,” এর আগে দেশের সমস্ত প্রধানমন্ত্রী সম্পদ তৈরি করেছিলেন। কেবলমাত্র মোদি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি একে একে সরকারি সংস্থা গুলি বিক্রি করছেন। ৩০০ জনের কম শ্রমিক রয়েছে এমন সংস্থা গুলিকে শ্রমিক আইনের আওতার বাইরে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পূর্ব বর্ধমান জেলায় অসংখ্য রাইস মিল রয়েছে যেখানে ১৫০-২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। রাইস মিলে কাজ করা শ্রমিকরা কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শ্রম আইনের আওতায় আসতে পারবেন না। শ্রমিক বিরোধী এই কালা আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। কৃষি আইনের মতো শ্রমিক কোড বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।

ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়  বলেন, ইতিমিধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন গুলির রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হবে। তারপর আই এন টি টি ইউ সি-র অধীনে কোন কোন সংগঠন গুলি রয়েছে তার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার বাইরে কোনও সংগঠন ব্যানার বা নাম কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। আগামী দিনে সমস্ত শ্রমিক সংগঠন গুলোকে একা ছাতার তলায় নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় হাত শক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য

আরো পড়ুন