বিয়ের পরেও প্রেমিকের সঙ্গেই আত্মঘাতী প্রেমিকা, আলোড়ন

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: দুই নাবালক নাবালিকার একসাথে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় আলোড়ন ছড়াল গলসি তে। মৃত নাবালিকার নাম পূর্ণিমা ক্ষেত্রপাল (১৫)। এবং নাবালকের নাম দেবা বাউরি(১৭) ওরফে শুভঙ্কর। দেবার বাড়ি গলসি থানার জাগুলিপাড়া এলাকায়। অন্যদিকে পূর্ণিমা ক্ষেত্রপালের আদি বাড়ি বর্ধমানের পালিতপুর। সে জাগুলিপাড়ায় মামার বাড়িতে থাকতো। রামগোপালপুর স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়তো। জানা গেছে দেবার সঙ্গে পূর্ণিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৩ তারিখে বুদবুদের ভরতপুরে পূর্ণিমার বিয়ে হয়ে যায়। পূর্ণিমার শ্বশুর সঞ্জয় বাউড়ী জানান, গত ইংরেজী ৩ রা আগস্ট তার ছেলের সাথে বিয়ে হয় পুর্ণিমার। তবে তিনি প্রেমের বিষয়ে কিছু জানতেন না। আজই সকালে ফোনে খবর পান যে তার বৌমা গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করছে।

বিজ্ঞাপন

মৃত দেবা বাউড়ির আত্মীয় সুমন বাউরী জানান, গতকাল রাত এগারোটা পর্যন্ত তার সাথে গল্প করেছে দেবা। পূর্ণিমা তার কাকার মেয়ে ও দেবা তার বন্ধু। সকালে উঠে তিনি শোনেন দেবার বাড়িতে দুজনে একটি বাঁশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই পরিণতি ঘটতে চলেছে সেব্যাপারে কিছুই বুঝতে পারেনি সে।

পূর্ণিমার মামার বাড়ি সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে এখান থেকেই বিয়ে হয়েছিল পূর্ণিমার। দুইদিন আগেই বুদবুদের শশুর বাড়ী থেকে জাগুলিপাড়ায় এসেছিল। আজ শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাবার কথা ছিল। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক পরিনতি হল। তারা বলেন, প্রেমের বিষয়টি গ্রামের কেউই সেভাবে জানতো না। পূর্ণিমা শিক্ষিত হবার পরও এমন ঘটনা ঘটাবে এটা কেউ ভাবতে পারছে না। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ পুলিশ দুজনের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরো পড়ুন